দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা সভ্যতায় সূর্য দেবতা ইন্তি’র (Inti) দেখা পাই আমরা। ইনকাদের কাছে সূর্যমুখী ফুল হচ্ছে সান গড ইন্তি’র আদল। এমনকি ইনকা সভ্যতায় নারী প্রিস্টরা (Priestess) তাদের ব্রেস্ট ঢেকে রাখতে সোনা দিয়ে তৈরি সূর্যমুখীর আদলে গড়া ডিস্ক ব্যবহার করত তাদের সান গড ইন্তি’র সম্মানে। আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ের জাতীয় পতাকায়ও সান অভ মে (Sun of May) দেখি৷ অনেকেই বলেন এটা সেই ইনকা গড ইন্তিকেই রিপ্রেজেন্ট করে।
 
১৫৩২ সালে এক্সপ্লোরার (আপনি কলোনিয়ালিস্টও বলতে পারেন। এই লেখার খাতিরে তাকে আমি আপাতত এক্সপ্লোরার হিসেবেই ধরে নিচ্ছি) ফ্রানসিসকো পিৎজারো গনজালেজ (Francisco Pizarro Gonzalez) যখন প্রথম সূর্যমুখী দেখেন পেরুতে তারপর ষোড়শ কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীতে সানফ্লাওয়ার আমেরিকা থেকে ইউরোপে যায়। আর ইউরোপ থেকে পরবর্তীতে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পৃথিবীতে ইউক্রেন এবং রাশিয়া সবচেয়ে বেশি সানফ্লাওয়ার সিড প্রডাকশন করে থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে ইউক্রেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ন্যাকস হচ্ছে সূর্যমুখীর বিচি! বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সানফ্লাওয়ার ওয়েল এর দাম আকাশচুম্বী আমরা জানি। নিরাপত্তা বিবেচনায় রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনে যাওয়া সম্ভব না বর্তমানে। তাই বলে কি আমাদের সানফ্লাওয়ার এর সৌন্দর্য উপভোগ থেমে থাকবে? মোটেই না।

মেলবোর্ন থেকে ৬০ মিনিটের ড্রাইভিং দূরত্বে ডানসটাউন এলাকা। বালারাট শহরের অদূরেই এই ডানসটাউন (Dunnstown)। এই ডানসটাউনে রয়েছে সানফ্লাওয়ার ফার্ম যা বেশ কয়েক বছর ধরে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাধারণের মাঝে। এই বছর আবহাওয়া খুব একটা অনুকূলে না থাকায় অনেক দেরী করে মার্চের মাঝামাঝি এসে খুলে দিয়েছে সানফ্লাওয়ার প্রেমীদের জন্য। ১২ মার্চ শুরু হয়েছে। সূর্য়মুখী ভালো লাগলে এবং খুবই চমৎকার ‘ইনস্টা অর্দি’ ছবি তুলতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই সানফ্লাওয়ার ফার্মগুলোতে। গুগল করে আপনার শহরের আসে পাশে সানফ্লাওয়ার ফার্ম খুঁজে পেলেও পেতে পারেন।

বিদ্র: এই ফার্মে জনসাধারণের জন্য কোন টয়লেট নাই। তাই নিকটতম পাবলিক টয়লেট হচ্ছে পাঁচ মিনিট ড্রাইভিং দূরত্বে মেলবোর্ন -বালারাত রোডের উপর সার্ভিস স্টেশনে।