ওরহান পামুকের একটি অতি বিখ্যাত উপন্যাস “হাম্মামে “। ইস্তাম্বুল আসবো শুনে বন্ধু তারেক অনু জানালন এই উপন্যাসের আদলে একটি আস্ত মিউজিয়াম তৈরি করা আছে শহরের তাকসিম স্কয়ার থেকে হাঁটা দূরত্বেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বইটা তখন পড়া ছিল না। হাতে সময় খুব বেশী ছিল না তাই অডিওবুক শোনা শুরু করলাম আর বুক সামারি গুলো দেখে নিলাম। যদিও এতে এরকম একটি অসামান্য বইয়ের আসল রস ঠিকভাবে আস্বাদন করা সম্ভব হয় না, তবুও মন্দের ভালো হিসেবে এভাবেই মিউজিয়াম এ যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।

উপন্যাসে ৭০ দশকের এক অসামান্য প্রেমের আখ্যান উঠে এসেছে। প্রেমিকার বিরহে প্রেমের সময়কার প্রতিটি স্মৃতির উপাদান আঁকড়ে ধরে উপন্যাসের নায়ক কামাল বেঁচে ছিল বিরহের সময়। যখন তাদের সাক্ষাতের সময় তারা ধূমপান করত সেই সিগারেটের ফিল্টার গুলোও হালকা লিপস্টিক এর দাগ সমেত সেখানে সংরক্ষণ করা আছে। ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ করা আছে বইয়ে উল্লেখিত খাবার,পোশাক, সুগন্ধি,অন্যান্য ব্যবহৃত দ্রব্য, স্থান, কাল, পাত্র। চারতলা এই মিউজিয়াম এ গোটা বইটাই যেন তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সত্তুর দশকের তুর্কি জীবন যাত্রারও এক কাব্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ও জানার সুযোগ পাওয়া যাবে এখানে হাঁটতে হাঁটতে।

টিকিটের দাম বেশি না,মাত্র ১৩০ লিরা। নোবেলজয়ী এই লেখকের নিজের কন্ঠের একটি অডিও গাইড নিলে যোগ হবে আরো দশ লিরা। দারুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন হাম্মামে যাচ্ছি। ইস্তাম্বুলে এসে সুলতানি স্টাইলে একটা ‘টারকিশ বাথ’ না নিয়ে চলে যাব এটা কি করে হয়।

কৃতজ্ঞতা: 

The Museum of Innocence, Svklimkin CC-BY-SA-4.0