আরো পড়ুন রহস্যময় আন্ধারমানিকের গল্প
- রাইক্ষ্যং লেক হলো ভারত-মায়ানমার সীমান্তে প্রায় ১,২০০ ফিট উচুতে ১০০ একর ব্যাপি একটা প্রাকৃতিক জলাশয় যা বগা লেকের উত্তর পুর্বে ১২ ঘন্টার পথ এবং প্রায় ৬ গুন বড়। এর সর্বনিম্ন গভীরতা প্রায় ১০০ ফিট। এর প্রায় চারিদিক উঁচু পাহাড়ের কারনে এখানে জনবসতি খুব কম। ফলে লেকটি শত শত বছর ধরে শীতল টলটলে জলের আঁধার। এখানে শিং মাছ সহ অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়।
- রেডিও কার্বন ডাটা এনালাইসিস করে জানা যায় যে বগা লেক সৃষ্টি হয়েছে ১৭২৩-১৭৯৭ সালে এবং রাইক্ষ্যং লেক তৈরী হয়েছে ১০২৩-১১৫৪ সালের মাঝে।
- ড্রাগন হোক বা দেবতা হোক, এই লেকদুইটির উৎপত্তি ক্রেটার বা আগ্নেয়গিরি’র ফসল ভাবা হলে এসব লেক (বিশেষত বগা লেক) এর তলদেশে Trunk বা গাছের গুড়ি পাওয়া গেছে। এর মানে হলো ভুমিকম্পের কারনে ভুচ্যুতি ঘটলে এবং ভীষন বৃষ্টিপাতের ফলেই এই লেক দুটির সৃষ্টি। শরীফ সারোয়ার নামে এক স্কুবা ডাইভার বগা লেকের তলদেশ ঘুরে এসেছেন।
- বগা লেক বছরে ২.৩৩ মিমি এবং রাইক্ষ্যং লেক বছরে 0.৫ মিমি করে ভরে যাচ্ছে (Sedimentation) যা মুলত পাহাড়ি ঢল ও মানুষ জাতির কল্যানে। এভাবেই বাং পুকুর, চিংড়ি ও রিলিত পুকুর ভরে গেছে ।
- মজার ব্যাপার হলো পার্বত্য চট্রগ্রামে আরো কিছু এলাকায় লেক বা জলাশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য বিশেষজ্ঞগন ২৭ জুলাই ২০০৩ সালে বরকল ভুমিকম্প (৫.১ ম্যাগনিচিউড) কে দায়ী করছেন। ঐ ভুমিকম্পে বিভিন্ন এলাকায় গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে এবং অতিবৃষ্টি থেকে পাহাড়ি ঢলের কারনে এসব এলাকায় স্থায়ী ভাবে জলাশয় গড়ে উঠছে। এমন দুটি লোকেশন হচ্ছে বগা লেক থেকে ৬ কিমি উত্তরে বা রাইক্ষ্যং লেক থেকে ৭ কিমি পূর্বে।
এখানে ২টি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য লেকের লোকেশন দেখানো হয়েছে যা উভয় দিক থেকে ব্যাপক ভু-আন্দোলনের কারণে এবং ভ্যালির শেষভাগে সমাপনী বিন্দুতে ভূমিধস সৃষ্ট বাঁধ দ্বারা হ্রদ অববাহিকাকে বিচ্ছিন্ন করে উপত্যকা বন্ধ হওয়ার কারণে তৈরী হতে পারে।
Reference:
Islam S, Debnath P and Garnier J (2017) An Approach to the Origin of Boga Lake and Pukurpara Lake in the Hill Districts of Bangladesh, Oriental Geographer, vol.58, no.2, pp.31-52
আরো পড়ুন সাইংপ্রা ঝর্নায়
পড়ুন সোহেল রানার আরো লেখা
বগা লেকের আসাধারণ ছবিটির বিনা শর্তে ব্যাবহারের অনুমতি দেবার জন্য হণ্টক রিপনের (Md Akram Hossain) কাছে ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিন টীম কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ হলো।
ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের সকল কর্মকান্ড নট ফর প্রফিট, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে জানাতে হচ্ছে যে আমাদের সম্মানিত লেখকদের জন্য কোনো তহবিল এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। অদূর ভবিষ্যতে তহবিল গঠন করতে পারা গেল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
ঘুরুঞ্চির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে আমাদের সপ্তাহে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বর্তমানে আমাদের কাজ শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক এবং স্ব-অর্থায়নের উপর নির্ভর করে। আপনারা ঘুরুঞ্চিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনুদান দিয়ে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
ঘুরুঞ্চির ভ্রমণ ছবি ব্লগের ছবি থেকে আপনার পছন্দসই ছবি পেপার প্রিন্ট, ফাইন আর্ট প্রিন্ট, ওয়াল আর্ট এবং ডেস্ক আর্ট হিসাবে কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা ছবি কেনাকাটা করলে আমরা অল্প পরিমাণ কমিশন পাব, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যাবস্থার হবে, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যবহার হবে।
আমরা আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।