সম্ভবনাময় কক্সবাজার

Avatar

Byমুহাম্মদ মনসুরুল আজম, বাংলাদেশ

Jul 27, 2023 #অথনীতি, #অপরূপ, #অ্যালকোহল, #আকর্ষণীয়, #আকৃষ্ট, #উপভোগ্য, #কক্সবাজার, #কনসার্ট, #কর্মসংস্থান, #কুটির শিল্প, #ক্যাফেটেরিয়া, #ঘুরুঞ্চি, #ছুটি, #ট্রাভেল, #ট্রেন, #ধর্মীয় স্থাপনা, #নাইটক্লাব, #নৌকা, #পরিকল্পনা, #পরিবেশ, #পর্যটক, #পর্যটন, #পর্যটন শিল্প, #পাহাড়, #প্রকৃতি, #ফরেস্ট, #ফাস্টফুড, #ফ্লোরিডা, #বন, #বনায়ন, #বাংলাদেশ, #বালিভাস্কর্য, #বাস, #বিদেশি পর্যটক, #বিমান, #বিয়ার, #বৃক্ষরোপন, #বেড়ানো, #বোর্ডিং, #ব্যবস্থাপনা, #ভ্রমণ, #মদ, #মিয়ামি বিচ, #মুহাম্মদ মনসুরুল আজম, #ম্যাসেজ পার্লার, #রেস্তোঁরা, #লাইসেন্স, #সমুদ্র, #সমুদ্র সৈকত, #সাংস্কৃতি, #সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, #সৈকত, #স্পা সেন্টার, #হোটেল

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প পর্যটন। বর্তমান বিশ্বের পর্যটন ট্রিলিয়ন ডলারের শিল্প মাধ্যম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে কল্পনাই করা যায় না।

পর্যটকরা কোন দর্শনীয় স্থানে নিছকই থাকা ও খাওয়ার জন্য যান না। এর পাশাপাশি সময় কাটানো এবং ঘুরে বেড়ানোর অনুষঙ্গও প্রয়োজন। কক্সবাজারের প্রকৃতি আমাদের যা দিয়েছে তা যদি সার্বিকভাবে সংরক্ষণ করার পদক্ষেপ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তাহলে সমুদ্র সৈকত হবে এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার, বদলে যেতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ।

ফ্লোরিডার মিয়ামি বিচ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি বিচ। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো পর্যটকরা যাচ্ছে, সিনেমার শুটিং চলছে। তুলনামূলক বিচারে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার বিচ মিয়ামি বিচের মতো না হলেও এর কক্সবাজার বিচকে পর্যটনমুখর করা সম্ভব। কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবস্থাপনায় সমস্যাগুলোকে নজরে এনে কক্সবাজারকে আরো আকর্ষণীয় আরো বাণিজ্যিকভাবে সফল করা সম্ভব।

কক্সবাজারে একজন পর্যটক একদিকে যেমন পাহাড়ে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি দেখতে পান, তেমনি উপভোগ করতে পারবেন বিস্তীর্ণ সমুদ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাও রয়েছে, যা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে।

আমার মতে সরকারকে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে:

  • ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক পরিবেশ, পরিবহন ব্যবস্থা এবং সামাজিক উন্নয়ণ পর্যটন উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। উপযুক্ত পরিবেশেই গড়ে ওঠে পর্যটন শিল্প। তাই কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
  • দেশের কুটির শিল্প এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রয়ের সুব্যবস্থা করতে হবে।
  • পর্যটকদের জন্য আলাদা বিনোদনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে কক্সবাজারকে আরও বেশী আকর্ষণীয় করা সম্ভব। কোন স্থানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য কতকগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যেমন – নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি। ভ্রমণ সেবা – বাস, ট্রেন, নৌকা, বিমান ইত্যাদি খাদ্য সেবা – রেস্তোরাঁ , ক্যাফেটেরিয়া, ফাস্টফুডের দোকান, বাসস্থান – হোটেল, বোর্ডিং হাউস, বিনোদন-থিয়েটার, কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্পোর্টস, নাইটক্লাব। শপিং-স্থানীয় বিভিন্ন আকর্ষণীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের উপরিউক্ত বিষয়াবলীর উপর জোর দেয়া প্রয়োজন।
    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বালিভাস্কর্য নির্মাণ করার মাধ্যমে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের শিল্প সংস্কৃতি প্রদর্শন সহ টিকিটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারি।
  • প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড ও প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা, উন্নত দেশের মত আমাদের দেশের শিক্ষিত, স্মার্ট তরুণ সমাজকে পর্যটনের উপর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এ পেশায় নিয়োজিত করা গেলে এক দিকে যেমন পর্যটন শিল্পের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে শিক্ষিত বেকার তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
  • বিদেশি পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান সংরক্ষিত করে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা। যেখানে থাকতে পারে বিভিন্ন ম্যাসেজ-স্পা সেন্টার, লাইসেন্সকৃত বিয়ার-মদ, অ্যালকোহলিক পানীয়র ব্যবস্থা ইত্যাদি যেগুলো শুধুমাত্র বিদেশী পর্যটকদের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।

পর্যটন শিল্প আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয়, দ্রুত উন্নয়নশীল,অর্থকারী, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং সংবেদনশীল শিল্প। পৃথিবীর বৈচিত্র্যশীল প্রকৃতির মতই আজকের মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে অধিকতর ভ্রমণশীল ও গতিশীল। পর্যটন শিল্প তাই বর্তমান বিশ্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার অবকাশ রাখে। এছাড়া পর্যটনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বর্হিবিশ্বে প্রচার এবং আন্তর্জাতিক সুনাম ও সুসম্পর্ক তৈরি করা যায়।