বান্দরবান জেলার পর্বতরাশির মাঝ দিয়ে যে দুটি নদী বয়ে চলেছে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী, তাদের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা প্রায় অসম্ভব।

মোটাদাগে বলা যায় প্রায় স্বতন্ত্র রাজত্ব নিয়েই সাঙ্গু পূর্ব দিকের সুউচ্চ পর্বতসারি ও বান্দরবান পর্বতসারির মধ্যবর্তী উপত্যকাটিতে রাজত্ব করছে। আর মাতামুহুরীর রাজত্বটি হচ্ছে বান্দরবান পর্বতসারির পশ্চিম দিক থেকে মাতামুহুরী পর্বতসারি অর্থ্যাৎ মিরিঞ্জা রেঞ্জ পর্যন্ত।

মাতামুহুরীর মহারাজ্যপটের একটি ক্ষুদ্র অংশে এক রাণী গড়ে তুলেছে তার ছোট অথচ বৈচিত্রময় একটি রাজ্য। সে রাজ্যের রাণীর নামটি হচ্ছে তৈন খাল বা টোয়াইন খাল  যা ক্যাপ্টেন টি এইচ লুইন এর ভাষায় ” টুইন খ্যং”।
 

একটা ভ্রমণ গ্রুপের সাথে গত ৮ ই ডিসেম্বরে (২০২২) গিয়েছিলাম এই তৈন খালের বাঁকে বাঁকে ঘুরে বেড়াতে। ভ্রমণের তৃতীয় দিনে আমরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে এক গ্রুপ রওনা দিলো ঢাকার উদ্দেশ্যে, আরেক গ্রুপ হাঁটা ধরলাম রুংরাং পাহাড়ের পাদদেশে কাতল ঝিরির খানিকটা উজানে, বড় মাছ খুমের উদ্দেশ্যে।

ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনে আমরা রাত কাটিয়েছি পালং খিয়াং ঝর্ণার পাশে, একটি ঝুম ঘরে। তৃতীয় দিন সকালে নাস্তার পর আমাদের গন্তব্য লক্ষীরাম পাড়া যে পাহাড়ে, তার নীচে বড় মাছখুম, যেখানে অনেক বড়ো বড়ো মহাশোল মাছ পাওয়া যায়। সাথে গাইড রাজু তঞ্চৈঙ্গা।

পালং খিয়াং ঝর্ণা থেকে লক্ষীরাম পাড়া পর্যন্ত পথের সৌন্দর্য তুলে আনার চেষ্টা করেছি এই পোস্টে ।