ঘুরতে যাওয়ার আগে গাড়ির ইঞ্জিন ওয়েল, রেডিয়েটর, প্রতিটা চাকা ভাল করে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। সাথে সাথে গাড়িতে স্পেয়ার চাকা এবং টুলবক্স রয়েছে কি না সেটাও খেয়াল করতে হবে। গাড়ির চাকা কিভাবে বদলাতে হয় পারলে ইউটিউবে সেটার একটা টিউটোরিয়ালও দেখে নেওয়া যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় যে কোন রোডসাইড এসিসস্ট্যান্স এর মেম্বারশিপ কিনে রাখতে পারেন।
আমাদের রোডসাইড এসিসস্ট্যান্স মেম্বারশিপ ছিল। তাদেরকে কল দেওয়ার পরে বলল কমপক্ষে এক ঘন্টা লাগবে সাহায্য পৌঁছাতে। একদম মিডিল অভ নোহোয়ার ছিলাম। সাহায্য পৌঁছাতে দেরি হওয়ায়ই স্বাভাবিক। অগ্যতা নিজেই চাকা বদলাতে শুরু করেছিলাম। বল্টুগুলো খোলার পর চাকা আর বের হয় না। এত টানাটানির পরেও না। এই দেখে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুইটা গাড়ি থামল সাহায্য করার জন্য। চারজনে মিলে চাকা টেনে খুলে স্পেয়ার চাকা লাগানো হয়েছিল। পরে রোডসাইড এসিসস্ট্যান্স’র কলআউট ক্যানসেল করেছি। মজার বিষয় হচ্ছে যেই দু’জন সাহায্য করতে থেমেছিল তারা সম্পর্কে পিতাপুত্র। ছেলে তো বাবা-মায়ের জিনই পাবে সাহায্য করতে। বাবার গাড়িতে তার মা ছিল আর ছেলের গাড়িতে তার গার্লফ্রেন্ড ছিল। আমাদের এই ফ্ল্যাট টায়ার এর বদৌলতে তাদের দেখা হয়ে গেল।