হঠাৎ করেই চোখ খুলে দেখি বিপুল তীব্র স্রোতে চারপাশ ভেসে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ বুজে ছিলাম, কারণ আমি দুচোখে যা দেখছি তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

স্রোতের প্রতিকূলে যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ততই ঘূর্ণিপাকের মতো জলরাশি ধেয়ে আসছে। ছোট ইঞ্জিনের একটি নৌকায় বসে আমরা ছয়জন, মনে হচ্ছিলো অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় কয়েকজন অভিযাত্রী ছুটে চলেছে কোনো এক অজানায়। অখিলবন্ধু ঘোষের একটি গানের লাইন মনে পড়ে গেল, “ওরা চলে অসীমের প্রান্তে, ওরা চায় অজানারে জানতে…”

এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে আসি। এগারো জনের ক্রিকেট টিম নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। গত ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজার ছুটির সকালে আমরা বান্দরবান পৌঁছাই। বাস স্টেশন থেকে জীপগাড়ি রিজার্ভ করে চলে গেলাম থানচি উপজেলায়। পথিমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হয়েছে। মিলনছড়ি চেকপোস্ট থেকে পাহাড়ি সবুজের যে সৌন্দর্য্য শুরু হয়েছে তা দূরের নীল দিগন্তের সাথে মিশে গিয়েছে। পিচঢালা আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় পথচলা এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির বার্তা দিয়ে যায়। ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় পেছনে ফেলে আমরা মুগ্ধ হয়ে সামনের অরণ্যে ছুটে চলেছি। চারিদিকের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে থানচি পৌঁছে গেলাম তা টের পাইনি। পরের গন্তব্য সাঙ্গু নদী পাড়ি দিয়ে রেমাক্রি।

থানচি বাজার থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আমরা রওনা হলাম থানচি থানার উদ্দেশ্যে, কারণ সেখানে আমাদের রিপোর্টিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। রিপোর্টিং পর্ব শেষ করে আমরা দুপুরের খাবার সেরে নিলাম এবং নৌকা ঘাটে যাবার প্রস্তুতি নিলাম সব তল্পিতল্পা গুছিয়ে। নৌকা ঘাটের সিঁড়ি ধরে নিচে নেমে পড়লাম, অবাক বিস্ময়ে আবিষ্কার করলাম সাঙ্গু নদী এলাকার মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি। আমাদের ট্যুর গাইড লাকী মারমা, তাকে সাথে নিয়ে নৌকায় পা রাখা মাত্রই আমাদের অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়ে যায়। পাথুরে সাঙ্গু নদীকে এই প্রথম নিজের চোখে দেখলাম। পাহাড়ি হাওয়া গায়ে লাগিয়ে, দুচোখের দৃষ্টি মেলে দিয়ে তাকিয়ে দেখি চারপাশে সবুজের সমারোহ। শরতের মেঘদল ও দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের মিতালি এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে এই নদী এলাকায়। ইঞ্জিনের বিকট শব্দে এখানকার অপার্থিব নির্জনতা টের পাওয়া যায় না, পেলে হয়তো ডুবে যেতাম সে শব্দের অতলে। আমাদের অভিযাত্রীদল এই অদেখা স্বর্গ উপভোগ করতে করতে সাঙ্গু নদীর উজানে ক্রমশঃ ছুটে চলছে।

প্রায় ৪০ মিনিট পার করলাম নৌকায়, এতোক্ষণ যে সাঙ্গুকে শান্ত মনে হয়েছিল– নিমিষেই তার চেহারা পাল্টে গেল! ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হলো সাঙ্গু, আমি তার নাম দিয়েছি “উন্মাদ সাঙ্গু”। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের অ্যাডভেঞ্চারে যোগ হলো নতুন মাত্রা। কিছুদূর এগিয়ে দেখতে পেলাম কোনো কোনো জায়গায় অকল্পনীয় স্রোত পাথরে ধাক্কা খেয়ে আছড়ে পড়ছে, যেন এক মাতাল স্রোতের মিছিল। আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম! নদীর এমন বেপরোয়া রূপ আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আসলে এমন যাত্রাই চেয়েছিলাম, যেখানে মৃত্যুভয় প্রতিটি মুহূর্তে মগজের দড়জায় কড়া নাড়ে।

পৃথিবীতে অনেক ধরনের অ্যাডভেঞ্চার রয়েছে। কিন্তু বর্ষার খরস্রোতা উন্মাদ সাঙ্গু নদীতে স্রোতের বিপরীতে নৌকায় করে যাত্রা এক অন্য লেভেলের অ্যাডভেঞ্চার। এটাকে ম্যাডভেঞ্চার বললে ভুল হবে না! পাহাড়ি ঢলের এই উন্মাদ নদী এতোটা প্রতিকূলতাপূর্ণ, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা ছিলো না। এ যেন স্বর্গ দেখতে গিয়ে স্বর্গবাসী হওয়ার উপক্রম! এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে পেছন থেকে আওয়াজ শুনতে পেলাম, “দাদা… লাইফ জ্যাকেট পরেন, লাইফ জ্যাকেট পরেন!” আমাদের বোটম্যান মুয়ং, তাকে একজন দক্ষ নাবিক বললে ভুল হবে না। সতর্কবার্তা দিয়ে সে আপন মনে চালকের ভূমিকা পালন করতে লাগলো। এদিকে আমার বারোটা বেজে গেছে, দিশেহারা পাখির মতো ছটফট করে উঠলাম। গাইড লাকী পেছনেই ছিল, মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো নড়াচড়া না করে শক্ত হয়ে বসে থাকতে। আমি তার কথা মতো কাজ করতে থাকলাম, কিন্তু চোখের সামনে এমন তান্ডবলীলা সহ্য করার মতন না। দুঃসহ উৎকণ্ঠায় পার করতে থাকলাম সময়।

উন্মাদ সাঙ্গুর মাঝপথে আরো তীব্র স্রোতের মিছিল দেখতে পেলাম। কিছু কিছু জায়গায় এমন ভয়ানক স্রোতের তান্ডব দেখলাম যেখানে নৌকা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। সেইলর মুয়ং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাড় ঘেঁষে তুলনামূলক কম স্রোতের এলাকায় নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে। গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম এভাবে আর কতদূর চলতে হবে, সে তার চিরাচরিত হাসি দিয়ে বললো, “দাদা ভয় পাবেন না। এখনো আসলটাই বাকি আছে!” শোনামাত্র পিলে চমকে উঠলো। জানতে পারলাম রাজা পাথরের আশেপাশেই একটা ডেঞ্জার জোন আছে। বড় কোনো বিপদ ঘটলে সেখানটায় ঘটে, খুবই রিস্কি একটা জোন। সেটা পার হয়ে গেলেই আর কোনো বিপদের আশংকা নেই। সবাই আতঙ্কে কিছুটা নড়ে উঠলো। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় যখন মত্ত হয়েছি, এর শেষ দেখেই ছাড়তে হবে। মনোবল আরো শক্ত করে, ভাগ্যের উপর ভরসা রেখে আসন্ন বিপদের মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।

অ্যাডভেঞ্চার প্রসঙ্গে হেলেন কেলারের একটি উক্তি বারবার মনে হতে লাগলো- “Life is either a daring adventure or nothing at all.” মনে সাহস সঞ্চয় করে এই দুঃসাহসিক অভিযানে নেমে পড়লাম। মানসিকভাবে স্থির হয়ে চিন্তা করলাম যেকোনো সময় নৌকা উল্টিয়ে পানিতে পড়ে যেতে পারি বা স্রোতে ভেসে যেতে পারি। যদিও লাইফ জ্যাকেট ছিল, অন্ততপক্ষে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনকে স্বান্তনা দিলাম। সাঁতার জানলেও এখানে তেমন লাভ নেই, শুধু পাথরের ধাক্কা থেকে এড়িয়ে যেতে পারলেই চলবে। ক্রমাগত স্রোতের বিপরীতে চলতে চলতে একসময় আমরা সেই প্রত্যাশিত ডেঞ্জার জোনে প্রবেশ করলাম। প্রতিকূলতা আরো বেড়ে গেল, টের পেলাম বুক ধড়ফড়িয়ে হার্টবিট অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই খেয়াল করলাম আমাদের নৌকা শূন্যে উঠে আবার নেমে পড়লো, হঠাৎ করেই একরাশ জলের ধাক্কায় কেঁপে উঠলো পুরো নৌকা। বিপুল এক পানির ঝাপটা আছড়ে পড়লো আমাদের শরীরে। সবাই রীতিমতো ভিজে গেলাম, ভয় না পেয়ে শক্ত হয়ে বসে ছিলাম বলেই এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। আসলেই মনীষীরা ঠিক বলেছেন- “Fortune favours the brave.” ভাগ্যগুণে আমাদের অভিযাত্রীদল এই দুঃসাহসিক অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করলো।

বিপদসীমা অতিক্রম করেই আমরা রাজা পাথরের দেখা পেলাম। সাথে রয়েছে রাণী পাথর, বড় পাথর ইত্যাদি। দৃষ্টিনন্দন এসব সৃষ্টি দেখে বিমোহিত না হয়ে উপায় নেই, স্রষ্টা যেন নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এমন মনোমুগ্ধকর পাথুরে ল্যান্ডস্কেপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা রেমাক্রির কাছাকাছি চলে এলাম। আমিও সংবিৎ ফিরে পেলাম এসব সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে। পাহাড়ে বৃষ্টির চিত্রটি ভিন্ন, যখন-তখন শুরু হয়ে যায়। আমি বৃষ্টির প্রথম স্পর্শ অনুভব করলাম, মুহূর্তেই এক পশলা বৃষ্টির দেখা পেলাম। উপলব্ধি হলো এ আমার সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতের বৃষ্টি, যেন আমি একটা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। The Shawshank Redemption মুভির একটা আইকনিক সিন আছে যেখানে প্রধান চরিত্র অ্যান্ডি ড্যাফ্রেন কারাগারের গুপ্ত এক আবর্জনার টানেল ধরে হামাগুড়ি দিয়ে সারারাত চেষ্টা চালিয়ে যাবার পর একসময় বাইরে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। অ্যান্ডি ড্যাফ্রেন তার দু’হাত উঁচু করে বৃষ্টিকে বরণ করে নেয়, যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এই বৃষ্টি। ঠিক তেমনি আমিও দু’হাত উঁচু করে বৃষ্টিকে বরণ করে নিলাম। সৃষ্টিকর্তাকে অনুভব করলাম বৃষ্টির ওপাড়ে।

উন্মাদ সাঙ্গুর বিরুদ্ধ সময় পেছনে ফেলে অপার্থিব নির্জনতার রেমাক্রি আমাদের স্বাগতম জানায়। রেমাক্রির গহীন অরণ্যের সৌন্দর্য্য অতুলনীয়। অনিন্দ্য মেঘময়তা পুরো রেমাক্রি জুড়ে। সারারাতের বাস জার্নি, অনিদ্রা, ক্লান্তি, শঙ্কা, ভয় সবকিছু ভুলে গেলাম এই অপার্থিব সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়িয়ে। এখানে না আসলে অজানাই রয়ে যেতো আমাদের দেশ যে কতটা সুন্দর। নাফাখুম গেস্ট হাউজে আমরা রাত্রিযাপন করলাম, রেমাক্রির নক্ষত্রের রাত সত্যিই অসাধারণ ও মুগ্ধকর। গেস্ট হাউজের মালিক উচিং মং মারমা আঙ্কেল ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে পরিচিত হলাম। চা খেতে খেতে আলাপের এক পর্যায়ে জানতে পারলাম এখানকার নেটওয়ার্কবিহীন জীবনব্যবস্থার কথা। তার কাছে বিজিবি ক্যাম্প থেকে দেয়া একটা বিরল ওয়াকিটকি আছে যেটা দিয়ে আশেপাশের ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। জরুরি মুহূর্তে বা যেকোনো বিপদে এটাই তাদের যোগাযোগের একমাত্র সম্বল। তাই বা কম কী? যদিও সবখানে বিজিবির আনাগোনা থাকেই, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। প্রথম রাত এখানে কাটিয়ে পরদিন সকালে আমরা রওনা হয়ে যাবো আরো গহীনে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে।

মারমা ভাষায় “খুম” মানে হলো জলাধার। পাহাড়ি নদী সাঙ্গু তার বয়ে চলার পথে অজস্র স্থানে ছোট ছোট জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেমাক্রিখুম, নাফাখুম আর আমিয়াখুম। অজানা আরো অসংখ্য খুম রয়েছে সেই ভূখণ্ডে।

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি স্থানটি সাঙ্গু নদীর উজানে একটি মারমা বসতি। থানচি থেকে নৌকায় করে প্রায় আড়াই ঘন্টা নৌপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় রেমাক্রি, সেখান থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর সেই জলপ্রপাতে; যার নাম ‘নাফাখুম’। বর্তমানে সাঙ্গু নদীতে স্রোত আর পানির পরিমাণ এতোটাই বেশি যে রেমাক্রি থেকে আমাদের আবার নাফাখুমের উদ্দেশ্যে নৌকা নিতে হয়, নৌকা নামিয়ে দেয় নাফাখুমের এক থেকে দেড় ঘন্টা আগে; বাকি পথটা হেঁটেই যেতে হয়। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ এই নাফাখুম। নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে নেমে গেছে প্রায় ২৫-৩০ ফুট, প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত। সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে জলরাশি। ভরা বর্ষায় রেমাক্রি খালের জলপ্রবাহ নিতান্ত কম নয়। প্রায় যেন উজানের সাঙ্গু নদীর মতোই। পানি প্রবাহের ভলিউমের দিক থেকে নাফাখুমই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে নাফাখুমের পড়ন্ত জলের ধারার নিচে গিয়ে বসার সুযোগ রয়েছে। আমার-আপনার জন্য বিষয়টা বেশ রিস্কি হলেও পাহাড়িরা জলপ্রপাতের পেছনে বসে অনায়াসে মাছ শিকার করে। এক ধরনের উড়ুক্কু মাছ (স্থানীয় ভাষায় মাছটির নাম ‘নাতিং’) উজান ঠেলে এসে নাফাখুমে বাধাপ্রাপ্ত হয়, লাফ দিয়ে এই প্রপাতটা আর অতিক্রম করতে পারেনা; গিয়ে পড়ে জলপ্রপাতের ভিতরে ছোট্ট একটা গুহায়। অনায়াসে সেখান থেকে মাছ সংগ্রহ করে স্থানীয় পাহাড়িরা।

বান্দরবান হচ্ছে “ভয়ংকর সুন্দর” বলতে যে ব্যাপারটা বোঝায় সেটাই, আপনি যদি দেশের গণ্ডীতে গহীন বান্দরবান না দেখে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাডভেঞ্চারের কৌটোটা প্রায় শূন্য বললেই চলে। বান্দরবান যেন এক অলীক স্বপ্নের পাড়, যেখানে দেখা মেলে অনিকেত প্রান্তরের। রোদ-বৃষ্টি, মেঘ-পাহাড়ের মিলনমেলা এই বান্দরবান। বাংলাদেশে অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আদর্শ কোনো জেলা থাকলে সেটা নিঃসন্দেহে বাংলার ভূস্বর্গ বান্দরবান। তাই অ্যাডভেঞ্চারের কৌটোর শূন্যস্থান পূরণ করতে অবশ্যই আপনাকে ছুটে যেতে হবে বান্দরবানের গহীনে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “গহন অরণ্যে” কবিতার শেষ লাইনটি দিয়ে এই ভ্রমণগল্প শেষ করতে চাই-

“গহন অরণ্যে আর বারবার একা যেতে সাধ হয় না, তবুও যেতে হয়; বারবার ফিরে যেতে হয়…”