ইনভারলক (Inverloch) মেলবোর্ন থেকে প্রায় দুই ঘন্টার ড্রাইভ, কয়েকবার প্লান করেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগের ফাইনালের ছুটিটা কাজে লাগল।

অনেকগুলো স্পট ঘুরার প্লান ছিল, তাই সকাল সকাল বের হয়ে পড়ি। কফি বিরতি ছিল একটা ফার্মে। একটু ফ্রেশ হয়ে এক কাপ কফি/মিল্কশেক/ আইস ক্রিম হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে ফার্মের ডিসপ্লেতে রাখা গরুর বাছুড়, আলপাকা, হরিণ, খরগোশ দেখা নতুন অভিজ্ঞতাই ছিল। বিশেষ করে বাচ্চারা খুবই উপভোগ করেছে। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে গরুর মিল্কিং করে যা ফ্রীতে উপভোগ করা যায়, কিন্তু ট্রাক্টর দিয়ে ফার্ম ঘুরে দেখতে চাইলে ফি লাগে।
দ্বিতীয় স্পট ছিল কিলকুন্ডা (Kilcunda) বীচ। অজি বীচের বর্ণনা দেওয়ার দরকার হয় না!! কয়েকশ মিটার দূরে কিলকুন্ডা ট্রেস্টল ব্রিজ (Trestle Bridge) এর উপর দিয়ে হেটে হেটে এক পাশে সমুদ্র, অন্য পাশে ভ্যালির সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর!!
 
কেপ পেটারসন (Cape Peterson) এ কিছুটা সময় কাটানোর ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সময়ের সল্পতায় হয়ে উঠেনি। কোস্টাল রোড ধরে কেপ পেটারসন থেকে ইনভারলক যাওয়ার পথের ডানপাশে অনেকগুলো আকর্ষণীয় জায়গা আছে যার মধ্যে আমরা কয়েকটি কাভার করতে পেরেছি,ঈগল’স নেস্ট (Eagles Nest), ফ্লাট রকস (Flat Rocks), দা কেভ’স (The Caves) এবং ইনভারলক বীচ।
 

আমার কাছে ঈগল’স নেস্ট টা ছিল সবচেয়ে আকর্ষনীয়! বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে এইটার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে, কার পার্ক থেকে একটা ট্রেইল দিয়ে হেটে লুক-আউট থেকে এবং বীচে নেমে। শেষ বিকেলের আলোতে প্রত্যেকটাই অসাধারণ!!

ফ্লাট রকস এ ডাইনোসরের ফসিল খুজে পাওয়ার দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী, সাধারণ মানুষ যাতে ভীড় না করে সেই জন্য ঠিক কোন জায়গায় সেটা প্রকাশ করে নাই! কিন্তু এই পিচ্ছিল-পাথুরে বীচটাও অসাধারণ!

ইনভারলক বীচ বিশেষ কারণে দূপরের সময়টা এখানে কাটাতে হয়েছে। রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া থাকায় অনেক জনসমাগম বীচে, কেউ সার্ফিং, কেউ সাতারে ব্যাস্ত। সর্বোপরি, মেলবোর্ন থেকে একদিনের ট্রিপের জন্য যথেষ্ট!!