১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে তাঁরা তা পরিত্যাগ করে কলকাতা চলে যান এবং তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সেটিকে অধিগ্রহণ করে তাদের গভর্নর হাউসে রূপান্তরিত করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু এটিকে ‘উত্তরা গণভবন’ হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেখানে নিয়মিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও মন্ত্রিপরিষদের সভার আয়োজন করেন।
বর্তমানে অবশ্য ভবনটি তালাবদ্ধই থাকে। বদরে মুনীরের প্রভাব ও সাংগঠনিক দক্ষতায় আমরা সেখানে প্রবেশাধিকার লাভ করি এবং তার নিয়োজিত চৌকস প্রদর্শকের কাছ থেকে প্রাসাদের ইতিহাস, স্থাপত্য, বিভিন্ন কক্ষের ব্যবহার, আসবাবপত্র, গৃহসামগ্রী, অলংকরণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি।
সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা পুরো অঙ্গনটা তার উদ্যান, দুর্লভ বৃক্ষরাজি, ভাস্কর্যাদি, সরোবরসমূহ, সংগ্রহশালা, রাজকুমারের প্রাসাদ, বন্দিশালা, বৃদ্ধাবাস তথা গ্র্যান্ডমাদারস হাউস ইত্যাদি ঘুরে দেখি। অতঃপর বদরে মুনীরের সহৃদয় আমন্ত্রণে তাদের পৈতৃক বাড়িতে গমন এবং ভরপেট মধ্যাহ্নভোজন শেষে কবিতার আড্ডায় চমৎকার অপরাহ্ণ যাপন। তবে সেই গল্প পরের কিস্তিতে।