নব্বই দশকের ঢাকার টিন এজ পোলাপাইনদের মোটের ওপর বিনোদন বলি বা ছুটি উপভোগ করার জায়গা বলি সেটা ছিল রমনা পার্ক, ঢাকা শিশু পার্ক এবং ঢাকা চিড়িয়াখানা।
 
এমনকি লোকজন দুর দূরান্ত মানে ঢাকার বাইরে থেকে শুধু মাত্র এইসব জায়গায় ঘোরাঘুরির জন্য হলেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আসতো! এগুলোর মধ্যে চিড়িয়াখানা ছিল পরিবার পরিজন সহ গেট টুগেদার এর জন্য একটু বেশি পছন্দনীয়।

সারাদিনের খাবার দাবার, পাটি চেয়ার বাচ্চা কাচ্চা মুরুব্বি সহ পুরো বাড়ি চলে যেত চিড়িয়াখানায় একটা পিকনিক পিকনিক আমেজে! বাচ্চাদের সে কি মজা – বিভিন্ন খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাঘ, ভালুক হরিন বানর ময়ূর সহ আরো কত প্রানী দেখতে পেলে। কোন দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া কিংবা বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী অবস্থান জানতে হলে সেই দেশের চিড়িয়াখানা ভ্রমন হচ্ছে খুব সহজ এব আনন্দময় উপায় এবং সেই সাথে শিক্ষণীয় বটে। আমার বেশ কয়েকবার ঢাকা চিড়িয়াখানা যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

বর্তমানে কানাড়ার এডমন্টন এ থাকার সুবাদে এখানকার জনপ্রিয় এডমন্টন ভ্যালি জু তে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল করোনার পূর্বে- সম্ভবত ২০১৯ এ। একটা নন প্রফিট অর্গানাইজেশন এ ভলান্টারি করার সুবাদে সবাই মিলে একটু মিনি ট্যুর এর অংশ হিসেবে এডমন্টন এর চিড়িয়াখানা ভ্রমন এর সুযোগ হয়েছিল!
এখানে প্রায় একশত এর বেশি প্রজাতির প্রাণীর বসবাস।

২০১৯ এ রেড পান্ডার জন্য আরবান ফার্ম এর ব্যবস্থা করা হয় যাকে বলে ন্যাচারাল ব্যাকইয়ার্ড। ইনার জু অর্থাত চিড়িয়াখানার আরো ভিতরে কিছু প্রানী যেমন এমু, ব্লাক সোয়ান এর জন্য সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে -তাঁদের গরমে ঘোরাঘুরির জন্য! রয়েছে বাঘ, শিয়াল , বরফ সাদা চিতাবাঘ সহ ডোরাকাটা জেব্রা। রয়েছে এলিফ্যান্ট হাউস! যেখানে লুসি রয়েছে । ও শ্রীলঙ্কায় এতিম হয়ে যায় ১৯৭৫ সালে। তারপর দুই বছর বয়সে এখানে আসে। এটাই এখন ওঁর জায়গা। সে ছবি এঁকে দর্শকদের আনন্দ দেয়। তবে বর্তমানে সে মানসিক ভাবে খুব একাকিত্বে ভুগছে প্রাণিবিদদের মতে।

কয়েকটা ছবি খুঁজে পেলাম অবশেষে স্মৃতির এলবামে যদিও আমার মনের ভিতরে ছোট্ট বেলা থেকে বহুবার যাওয়া মিরপুরের ঐ চিড়িয়াখানার ছবিটাই খোদাই হয়ে আছে তবুও এখানকার এডমন্টন ভ্যালি জু ও অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো হলেও ভালো লেগেছিল।