পুত্রের নির্মম ক্রুশবিদ্ধকরণ এর ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর কোথায় চলে গিয়েছিলেন হতভাগ্য মাতা?
 

এ প্রশ্নের উত্তর কখনো মেলে নি। কেউ কেউ বলেন, সেদিনের পর মা মেরীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিলেন যীশুর ১২ অনুসারীর একজন সাধু – জন। জেরুসালেম থেকে তাঁরা হাঁটতে শুরু করেছিলেন, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে এজিয়ান সাগর অভিমুখে৷ এজিয়ানের তীরে তখন গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ এফেসুস নগরী, হয়তো সেখানেই যেতে চেয়েছিলেন তারা। তারপর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। 

বহু বহু বছর পর, একদিন জার্মানির মৃত্যুপথযাত্রী এক সন্ন্যাসীনি অ্যানি ক্যাথারিন এমেরিচ প্রলাপের ঘোরে বলতে শুরু করেন মা মেরীর শেষ দিনগুলোর কথা। তিনি বলেন যে মা মেরী এফেসুস এ পৌঁছাতে পারেন নি, জেরুসালেমকে হাতের বাঁয়ে রেখে সোজা হেঁটে গেলে এফেসুস। এর আগেই এক নির্জন পাহাড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। এই প্রলাপ প্রথমে কেউ বিশ্বাস করে নি, তবে ১৮ শ শতকে নৃতত্নবিদেরা নানা রকম তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শুর করেন, শুরু হয় মেরীর অনুসন্ধান। ১৮৮১ সালে তুরস্কের ইজমিরে প্রাচীন এফেসুস নগরীর ধ্বংসাবশেষ এর কাছাকাছি নাইটিংগেল পাহাড়ের ওপর খোঁজ মেলে এই পাথরের বাড়ির। অনেক গবেষণার পর গবেষকরা একমত হন যে এই বাড়িতেই জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন মা মেরী। বর্তমানে এটি হাউস অফ ভার্জিন মেরী নামে পরিচিত। এ বছরের শুরুতে তুরস্ক বেড়াতে গিয়ে এই ঐতিহাসিক স্থানের ছবি তুলেছিলাম।

পাথরের তৈরি এই ঘরটির ভেতর ঢুকলে দেখতে পাবেন একটা বেশ বড় হল ঘর, তার নিচে পাওয়া গেছিল মেরীর একটি প্রাচীন ব্রোঞ্জ মূর্তি। বের হলে একটা সাদা দেয়াল, লোকে বলে উইশ ওয়াল। কতজনে কত কিছু লিখে ও বেঁধে রেখে গেছে এতে। আছে একটা ফোয়ারা, তার পবিত্র জল উপচে পড়ছে। সবুজ বনানী, পাখিদের কলরব সব মিলে একটা দারুণ প্রশান্তির জায়গা এই হাউস অফ ভার্জিন মেরী। তুরস্ক বেড়াতে গিয়ে অনেকেই এটা মিস করেন। ইজমির থেকে এফেসুস এর পথে পড়বে এটা।

পড়ুন তানজিনা হোসেনের আরো লেখা

 

ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের সকল কর্মকান্ড নট ফর প্রফিট, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে জানাতে হচ্ছে যে আমাদের সম্মানিত লেখকদের জন্য কোনো তহবিল এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। অদূর ভবিষ্যতে তহবিল গঠন করতে পারা গেল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

 

ঘুরুঞ্চির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে আমাদের সপ্তাহে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বর্তমানে আমাদের কাজ শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক এবং স্ব-অর্থায়নের উপর নির্ভর করে। আপনারা ঘুরুঞ্চিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনুদান দিয়ে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

ঘুরুঞ্চির ভ্রমণ ছবি ব্লগের ছবি থেকে আপনার পছন্দসই ছবি পেপার প্রিন্ট, ফাইন আর্ট প্রিন্ট, ওয়াল আর্ট এবং ডেস্ক আর্ট হিসাবে কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা ছবি কেনাকাটা করলে আমরা অল্প পরিমাণ কমিশন পাব, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যাবস্থার হবে, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যবহার হবে।

আমরা আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।