আকাশের নিচে, শান্ত কিন্তু স্তব্ধ নয় এমন এক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। নাম তার কেপ ফ্ল্যাটারি (Cape Flattery)। স্বপ্নে দেখা সুন্দর কোন এক জায়গার কথা যেমন মনে পড়ে জায়গাটা যেন ঠিক সেরকম। আমার মাথায় তখন কে জানি গেয়ে যাচ্ছিলো অদ্ভুত সেই ছেলেটির গান –
“একটি বনে ঢুকল সে গাছগাছালিতে ঢাকা
আনমনা হয়ে প্রকৃতি দেখে বিশাল বনে একা
খিদের জালায় অস্থির মন যাবে কী বাড়ি ফিরে
তার চেয়ে জীবন ভালো বন্য প্রাণীর ভিড়ে
অদ্ভুত ছেলেটি শুরু করল গাওয়া
হাতে তার অ্যাকস্টিক পকেটে হারমোনিকা
জোছনায় অজানা পথে চলা
এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা … “






সুন্দর, সাজানো গোছানো। আপনি বনের মধ্যে, পাতায় নিংড়ে আসা আলোতে হারাতে পারেন। এক অদ্ভুত ভালো লাগা নিয়ে যখন সাগরের দিকে মুখ ফেরাবেন, পাহাড়ের উঁচুতে – তখন প্রকৃতি আপনাকে চুপসে দিবে। জীবনকে মনে হবে তুচ্ছ। অথবা বুঝতে পারবেন বুড়ো রবীন্দ্রনাথের মর্মকথা –
“আমি অকৃতি অধম ব’লেও তো কিছু
কম করে মোরে দাওনি –
যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েও তা কিছু নাওনি … “
সংরক্ষিত জায়গা। পা রাখতে মাকাহ (Makah) জনগোষ্ঠীর অনুমতি লাগে। তারাই এই তল্লাট দেখভাল করে। কখনো এতদূর এলে কেপ আলভাও (Cape Alava) ঘুরে যাওয়ার পরামর্শ রইলো। হেটেই যাওয়া যায়। এমন জায়গায় যেতে হয় গুটুগুটু পায়ে, প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে। প্রখর সুর্যদিনে অথবা মেঘে ছেয়ে যাওয়া বর্ষায়। যেদিন তুমুল বাতাসে দুজনে হুটোপুটি খেলা যায়, খালিপায়ে। যখন নেমে আসা সন্ধ্যায় একসাথে কান পাতা যায় নিস্তব্ধতায় –




আরো পড়ুন ইয়েডনবা আবরিজিনাল কালচারাল সাইট




“আমার তোমার কি কোথাও হারিয়ে যাওয়ার কথা?
আমার তোমার কি কোথাও লুকিয়ে থাকার কথা?
এতো কিছু কি আমাদের আজ হওয়ার কথা …?”
কেপ ফ্ল্যাটারি ওয়াশিংটনে। বলতে পারেন আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের একদম শেষ মাথায় – অলিম্পিক পেনিনসুলাতে (Olympic Peninsula) যেখানে জুয়ান ডি ফুকা (Juan de Fuca) প্রণালী নিয়তি মেনেছে প্রশান্ত মহাসাগরে।
পড়ুন রাকীব রেজার আরো লেখা
ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের সকল কর্মকান্ড নট ফর প্রফিট, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে জানাতে হচ্ছে যে আমাদের সম্মানিত লেখকদের জন্য কোনো তহবিল এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। অদূর ভবিষ্যতে তহবিল গঠন করতে পারা গেল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
ঘুরুঞ্চির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে আমাদের সপ্তাহে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বর্তমানে আমাদের কাজ শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক এবং স্ব-অর্থায়নের উপর নির্ভর করে। আপনারা ঘুরুঞ্চিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনুদান দিয়ে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
ঘুরুঞ্চির ভ্রমণ ছবি ব্লগের ছবি থেকে আপনার পছন্দসই ছবি পেপার প্রিন্ট, ফাইন আর্ট প্রিন্ট, ওয়াল আর্ট এবং ডেস্ক আর্ট হিসাবে কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা ছবি কেনাকাটা করলে আমরা অল্প পরিমাণ কমিশন পাব, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যাবস্থার হবে, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যবহার হবে।
আমরা আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।