সিলেট যাবো সিলেট যাবো এমন করতে করতেই বেশ কয়েক বছর পার হয়ে যায় কিন্তু যাওয়া আর হয়ে উঠছিলো না। কিন্তু এই ঈদে চলেই গেলাম এবং খুবই অল্প সময় নিয়ে। তো আজ পুরো সময় জুড়ে আপনাদের বলবো কীভাবে কতো সময়ের উপর নির্ভর করে আমরা প্রায় চারটির বেশি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে পারলাম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের টিকেট ঈদের প্রায় ৬দিন আগেই নিশ্চিত করে রাখা হয়েছিলো। যদিও ঈদের আগে টিকেট পেতে বেশ বেগ হতে হয়। ঠিক ঈদেরদিন রাত ১০.৩০মিনিটে আমাদের বাস, আপনারা যারা সিজনে যেতে চান অবশ্যই সাত থেকে আট দিন আগে টিকেট রিজার্ভ করে রাখবেন, না হলে টিকেট পাওয়ার চান্স কম। তো যথারীতি ঠিক ১০.৩০মিনিটে পৌছে গেলাম টেকনিক্যাল মাজার রোড সংলগ্ন বাস কাউন্টারে। কিন্তু ঈদের দিন রাতেও বাস আসতে এতো লেট হবে আশাই করি নাই! যাই হোক আমাদের বাস এসে পৌছুলো ঠিক রাত ১২.০৫ মিনিটে! ক্লান্তি কাটিয়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে বাসে উঠে গেলাম। প্রায় ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিটের যাত্রা শেষে ঠিক ৫.৩০-এ কদমতলী বাসস্টপ এসে নামলাম। দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে পারলাম।
এখানে কিছু সতর্কতা দিয়ে রাখি “যদি আপনারা বেশি মানুষ হয়ে থাকেন তবে আশপাশ হেঁটে বেড়াতে পারেন যদি ৩-৪ জন হয়ে থাকেন তবে এক জায়গায় সবাই থাকাই ভালো, তবে অবশ্যই লোকসমাগম আছে এমন জায়গায় থাকা উত্তম হবে বলে মনে করি। কেননা নতুন এলাকা আশেপাশে অনেক মানুষ ওৎ পেতে থাকে কখন কার ক্ষতি করবে এবং সকল বাস স্ট্যান্ডে এমন থাকাটা একদমই স্বাভাবিক। তো সকালের নাস্তার জন্য কদমতলীতে কোনো ভালো খাবারের দোকান নেই, আমরা না জানার কারণেই সেখানেই খেলাম। তবে আপনারা যারা যাবেন তারা কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি ভাড়া (জনপ্রতি ২০টাকা ঈদের জন্য ৩০টাকা) করে একদম শাহ্ জালাল মাজারের সামনে চলে আসবেন, এখানে বেশ ভালো ভালো খাবারের দোকান আছে, দাম সম্পর্কে আমার আইডিয়া নেই তবে ঈদের সিজনে জন প্রতি ১৫০ টাকায় নাস্তা হয়ে যাওয়ার কথা। এবার নাস্তা শেষে আমরা রওনা হলাম হযরত শাহ্জালাল মাজার শরীফের উদ্দেশ্য।

হযরত শাহ্ জালাল মাজার শরীফ
এই যাত্রার বিস্তারিত বলার আগে এই মাজার সম্পর্কে কিছু বলে নেওয়া উচিৎ। বলা চলে এটা আমাদের ভাগ্য। আল্লাহ্ পাক এমন একজন মানুষকে আমাদের দেশে পাঠিয়েছিলেন যিনি ছিলেন ইসলাম ধর্মের একজন প্রচারক, দেশ বিদেশ ঘুরে ঘুরে তিনি ইসলাম ধর্মের প্রচারণা করতেন। তিনি আমাদের দেশে এসেছিলেন তাঁর প্রায় ৩০০ জন সাথী নিয়ে যারা আমাদের দেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সহ আরো অনেক জেলায় ছড়িয়ে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। ওখানকার লোকের মুখ শুনলাম এই মাজারের কারণেই সিলেটের অধিকাংশ মানুষ বেশ ধর্ম-অনুরাগী। তো আপনি এখানে যদি প্রথমবার আসেন বেশ শান্তি শান্তি অনুভব করবেন, আর যদি হয় সেটা ভোর ৬টা তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এছাড়া বেশ ঠান্ডা পরিবেশের সম্মুখীন হবেন যা আপনাকে সিলেট আসতে আরো উৎসাহিত করবে। ভেতরের প্রবেশ করলেই দেখবেন অনেক নর-নারী শুয়ে আছে! সেদিকে নজর না দিয়ে সোজা চলে যাবেন জালালী কবুতর দেখতে, শুনেছি এ কবুতর গুলোর জন্ম মৃত্যু নাকি এই মাজারেই। যারা মারা যাচ্ছেন ওখানেই মারা যায় এবং তাদের মাজারের আশেপাশেই কবর দিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক একটু সামনে আগালেই দেখতে পাবেন ছোট্ট একটি ইন্দিরা যাতে রয়েছে স্বর্ণ কই এবং বিশাল বিশাল মাগুর মাছ। যদিও স্বর্ণ কই দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নাই তবে মাগুর মাছ গুলো সামনেই থাকে আপনারা সকলেই দেখতে পাবেন। চাইলে ওখান থেকে বিশ টাকা দিয়ে কিছু চিংড়ীমাছ কিনে তাদের খাওয়াতে পারেন এতে করে তাদের কিছু লম্ফঝম্প দেখতে পাবেন। তবে সাবধান কোনো অবস্থাতেই হাত নিচে নিয়ে তাদের প্রতি অতি ভালোবাসা দেখাতে যাবেন না! যদিও বেশ উঁচুতেই থাকবেন তারপরেও রিস্ক নিবেন না, মনে রাখবেন এই একটা মাছ একটা আস্ত মানুষ খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এরপরে সোজা চলে যাবেন মাজারের আসল গেটে, এর মাঝে অনেক কর্মঠ ফকির আপনার কাছে টাকা চাইবে কিন্তু তাদের দিবেন না। গেটে প্রবেশের মুখে আপনি চাইলে জুতা হাতে নিয়ে যেতে পারেন তবে ১০টাকা দিয়ে লকার ভাড়া করে রেখে যাওয়া ভালো। অনুরোধ থাকলো মাজার আঙ্গিনা কোনো অবস্থাতেই ময়লা করবেন না। ভেতরে যাওয়ার সাথে সাথে আরো কিছু লোক আপনার নিকট টাকা চাইবে মাজারের জন্য সেখানেও কিছু দিবেন না, অনেকে বলবে মোম কিনতে সেটাও করবেন না। কেনো বলছি করবেন না! কারণ মাজার শুধু মাত্র জিয়ারত করার জন্য, মাজার উদ্দেশ্য করে মোম জালানো, আগরবাতি ধরানো কিংবা তাদের বড় পাতিলে টাকা দেওয়া এগুলো একদম শিরক টাইপের গুনাহ। এছাড়া অনেকে দেখলাম চুমো খাচ্ছে মাজারে! এটা তো সরাসরি শিরক। মনে রাখবেন হযরত শাহ্জালাল (রাঃ) ছিলেন আমাদের মতোই মানুষ। আল্লাহ্ পাক বলেছেন “তোমরা আমার কাছে চাও, আমিই সব কিছু দেওয়ার মালিক”। মাজারে কবর জিয়ারত করে পারেন, যদি কেউ মাজার জিয়ারত করার নিয়ত না জানেন তবে সেখানে টানানো পঞ্জিকা থেকে দেখে নিবেন, ঢুকতে ঠিক হাতের বামে বড় করে লিখা আছে। এছাড়া চাইলে দু রাকাত নফল নামাজ পরে সকলের জন্য দোয়া করতে পারেন, দেখবেন দারুণ একটা প্রশান্তি পাবেন। সেখানে ওযুর ব্যবস্থাও রয়েছে।

রাতারগুল জলাবন
এবারে সিলেট ভ্রমণের আসল যাত্রা শুরু আমাদের এখান থেকেই। এর আগে আমরা ২,২০০/- টাকা চুক্তি করে একটি সিএনজি ভাড়া করি যা আমাদের সাড়াদিনের যাত্রার একমাত্র বাহন। তবে ভাড়া ঠিক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই কথা ভালোভাবে বলে নিবেন, কেননা এরা অনেকেই আপনাকে সব গুলো জায়গা নাও ঘুরাতে পারে! তাই কোথায় কোথায় যাবেন স্পষ্টভাবে কথা বলে নিন। প্রায় ২ঘন্টা সিএনজি যাত্রার পরে পৌছে গেলাম কাঙ্ক্ষিত রাতারগুল জলাবনে। এবার ডিঙি নৌকা ভাড়ার করার পালা। আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে বলতে চাই এখানে নৌকা ভাড়া অনেক এবং অনেক বেশি, চেষ্টা করবেন কাউকে খুঁজে সঙ্গী করে নিতে এতে চাপ কমবে। অনেক দামাদামির পরে ১,১০০-/ টাকায় নৌকা ভাড়া করা হয়। রাতারগুলের সবচেয়ে মজার জিনিষ হলো বন-বাদারের মাঝ দিয়ে নৌকার ছলাৎছলাৎ শব্দে এগিয়ে যাওয়া। যারা একশ্যান ক্যামেরা নিয়ে যাবেন তারা বেশ দারুণ দৃশ্যায়ন আবদ্ধ করতে পারবেন। কিছুদূর ঘুরেবেড়ানোর পরে একটা ওয়াচ টাওয়ার দেখতে পাবেন, এখানে অবশ্যই উঠবেন। কেননা এর মাধ্যমে পুরো জলাবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, যতোটা পারবেন সাবধানে উপরে উঠবেন। দয়া করে নদীতে কেউ ময়লা ফেলবেন না।

মালিনীছড়া চা বাগান
এখানে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের তুলনায় দেখার মতো কিছু নাই, কাজেই চা বাগান দেখতে হলে শ্রীমঙ্গল চলে যান। এখানের চা বাগানের ভেতরে গেলেই দারোয়ান বকশিশ চাইতে থাকে, দিয়ে দিবেন ১০টাকা। আমরা সামনে হালকা হেটে দু’চার ছবি তুলে বিছানা কান্দির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।
বিছানাকান্দি
সিলেট আসার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো বিছানাকান্দি দেখতে যাবো। আমরা আমাদের রিজার্ভকৃত সিএনজি দিয়ে রাতারগুল থেকে বিছানাকান্দি চলে আসলাম। যেহেতু আমরা ঈদ সিজনে এসেছি তাই তুলনামূলক অন্য সময় থেকে ট্রলার ভাড়াও বেশ, আরো একটা বিষয় খেয়াল করবেন যদি আপনারা কম মানুষ হয়ে থাকেন তবে সেখান থেকে কিছু মানুষ জোগাড় করবেন, এক্ষেত্রে ঘাটের লোকেরা এটা করতে দিবে না তবে আপনাকে করতে হবে কৌশল! যাতে তাঁরা টের না পায়, আর অবশ্যই এসব জায়গায় মাথা ঠান্ডা রাখবেন যেহেতু আপনি আমি বাহিরের লোক তাই এইগুণ থাকাটা জরুরী। আপনাদের মাঝে সবচেয়ে ঠান্ডা মেজাজের মানুষটিকে সকল দামাদামীর দায়িত্ব দিয়ে দিন। সাধারণত পর্যটন এলাকায় কিছু লোক থাকবেই যারা আপনাকে ঠকাবে, এর জন্য নিজেকে সাবধান থাকতে হবে। তো আমাদের ট্রলার ২,৪০০/- টাকায় ঠিক করা হলো এবং নয়জন (বাহির থেকে ৫জন নিয়েছিলাম) নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। যেতে যেতে পিয়ান নদীর ধারায় বেয়ে চলা পাহাড়ি সৌন্দর্য আমাদের বলছিলো “টাকা বেশি গেলেও তুমি কিন্তু আমার অতীব সৌন্দর্যময় সময়কালেই এসেছ” বিছানাকান্দি মূলত একটা পাথরঘাট! এখানে গেলেই দেখতে পাবেন সামনেই একটি ঝর্ণা, মূলত এই ঝর্ণা বেয়েই পাথর গুলো বাংলাদেশে আসে। এটাকে চাইলে পাথরনদী নামকরণ করা যায়, এই পাথর গুলো এতোটাই প্রাকৃতিক যা আপনি শহরের দালান বানানো কোনো পাথরের সাথেই মেলাতে পারবেন না। এখানে যাবার পরে ঝর্ণার দিক মুখ করে দুহাত তুলে জোরে একটা চিৎকার দিবেন দেখবেন আপনার ভেতরের সকল দুঃখ-দুর্দশা, দুশ্চিন্তা, মনের ঝড়তা সব বেড়িয়ে যাবে। আর হ্যা এহেন অভাবনীয় সৌন্দর্য দেখে কে না ছবি তুলতে চাইবে! তবে সাবধান ফোন নিয়ে না যাওয়াই ভালো, যদি যেতেই হয় তবে গলায় ঝুলানো কোনো কিছুর মাঝে করে নিয়ে যান। কেননা এখানকার পাথর এতোই পিছলা যা যেকোনো মুহুর্তে আপনাকে ভূপাতিত করতে পারে। পাথরঘাটের শুরুর দিকে এতোটা পিচ্ছিল না থাকলেও সামনে আগানোর সাথে সাথে বেশ পিচ্ছিল পাথর পাবেন, তাই আবারো বলছি সাবধান। ভালো গ্রিপের স্যান্ডেল পরুন কিংবা খালি পায়ে পা টিপে টিপে আস্তে আস্তে পথ চলুন। আর ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর নিয়ে যাওয়াই ভালো। যদিও এখানে কিছু উদীয়মান ফটোগ্রাফার দেখা যায় যারা প্রতি পিস ৫টাকায় ছবি তুলে দেয়, এক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন এবং কথা পরিষ্কার করে নিবেন যে “আমি কিন্তু বেছে বেছে ছবি নিবো” কেননা ওরা চাইবেই সব ছবি আপনাকে দিয়ে দিতে। তো এই ছিলো বিছানাকান্দির মজা, তবে বেশি ভালো লাগবে আসা যাওয়ার ট্রলার ভ্রমণটা। যদি সম্ভব হয় ট্রলারের সামনে পা দুটো মেলে বসে থাকবেন মজা পাবেন, তবে হ্যা সাতার না জানা থাকলে এবং সাহস যদি কম থাকে তবে না বসাই ভালো। কেননা এই সময় প্রচুর ঢেউ থাকে সাথে আশেপাশের ট্রলারের যাওয়া আসার কারণে ঢেউয়ের পরিমাণ আরো বেশি থাকে।
বিখ্যাত সাত রঙ্গের চা
অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো সাত রঙ্গের চা খাওয়ার। যদিও শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত “নীলকন্ঠ টি কেবিনে” খাওয়া হয় নি তবে তামাবিল রোডের “রেডকন্ঠ রুপশী টি কেবিন”এ পান করেছি। আপনারাও ট্রাই করতে পারেন যারা পান করেন নি এখনো। এই চায়ের আকর্ষণীয় দিক হলো রংধনুর সাত রং, সাত স্তরের মাঝে প্রথম স্তরে কিছুটা দুধের সাথে দারুচিনির স্বাদ পেলাম, ২য় স্তরে পেলাম অনেকটা পোড়া দুধের স্বাদ, ৩য় স্তরে পেলাম হালকা লেবুর স্বাদ, ৪র্থ স্তরে পেলাম দুধের কড়া রঙ চা, ৫ম স্তরে পেলাম গরম শরবতের স্বাদ, ৬ষ্ঠ স্তরের স্বাদ ধরতে পারি নাই তবে ৭ম স্তরের স্বাদ একদম মধুর মতো লাগলো। বলা যায় বেশ আকর্ষণীয় তবে ২য়বার পান করার মতো কিছুই না।

সিলেটে তেমন কোনো ভালো খাবারের নাগাল পেলাম না। সকালে বাসস্টপ থেকে খেয়ে নিতে পারেন এবং দুপুরে বিছানাকান্দি ঘাটে খেতে পারেন। তবে আমি বেশ অবাক এতো সিন্ডিকেটের ভীড়ে এই একটা হোটেল আমাদের ভালো সার্ভিস দিয়েছে, খাবার দেখিয়ে খাবার খেতে দিয়েছে, এছাড়া খাবারের মান খুবই ভালো। আপনারা এখানেই খেতে পারেন। ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি তাই বলে দিচ্ছি, এটা ঠিক বিছানাকান্দির ৩য় ঘাটে ঢুকতেই হাতের বামের প্রথম হোটেলটাই।
খোলা পানি খাবেন না। ব্যাগে শুকনা খাবার রাখবেন যেমন চিপস, বিস্কিট বা অন্য কিছু যেমন শশা, গাজর, কলা থাকতে পারে।
খরচের তালিকা
ঢাকা টু কদমতলী – ৪৭০/- (নন এসি)
সকালের নাস্তা – ১০০/- (জনপ্রতি লোকাল খাবার)
কদমতলী থেকে মাজার – ৩০/-
মাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ (সারাদিন, তবে ৪-৫জন হতে হবে) – ২,২০০/- (জনপ্রতি ৫৫০/-)
রাতারগুল গোয়ান ঘাট থেকে রাতারগুল জলাবন নৌকা ভাড়া – ১,২০০/- (জনপ্রতি ৩০০/-)
বিছানাকান্দি ঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া – ২,৩০০/- (জনপ্রতি ৩০০/-)
দুপুরের খাবার – ১৪০/- (জনপ্রতি)
সাত রং’এর চা – ৭০/- (জনপ্রতি)
কদমতলী টু ঢাকা – ৪৭০/- (নন এসি)
সর্বমোট – ২,৪৩০/-
প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া শেষে তা পানিতে না ফেলে ব্যাগে বা পকেটে রাখুন এবং পরে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।