বউ-বাচ্চাকে নিয়ে আমি প্রায়ই ছোট ছোট শহরগুলোতে যাই। সেখানে গিয়ে স্থানীয় ক্যাফে শপে বসে কফি খাই আর মানুষজন দেখি। মানুষ দেখতে ভালই লাগে। হিউম্যান ডাইভারসিটি নেভার স্টপ এমিউজিং আস। কোলাক সেইরকমই একটা ছোট্ট শহর৷

কোলাক, মেলবোর্ন থেকে ঘন্টা দেড়েকের ড্রাইভিং দূরত্বে। চাইলেই হুটহাট যাওয়া যায় মেলবোর্নের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে। সে বিচারে কোলাক আমাদের কাছে খুবই প্রিয়। বিশাল একটা হ্রদ আর পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন। চমৎকার আবহ। প্রায়ই যাই আমরা।

এই শহরে বেশ কিছু এনটিক শপ রয়েছে। ঘুরে দেখতে ভাল লাগে। সেখানে একটা শপ রয়েছে প্রায় আশি জন মিলে দিয়েছে। অনেকটা কমিউনিটি শপ এর মতন। একেক দিন একেকজন এসে দোকান চালায়। এক দোকানের ভিতর আশিটা দোকান মনে হয়। প্রতিটি ভাগে যতই দেখতে দেখতে এগোতে থাকবেন ভিন্ন ভিন্ন রুচি এবং ভিন্ন ভিন্ন সময় এর সাথে পরিচিত হতে থাকবেন। এতগুলো মানুষের রুচি আর সময় একসাথে করে সামনে এনে হাজির করে দিচ্ছে। এটা একটা চমৎকার আইডিয়া। এইসব দোকানের এটেন্ডেডদের সাথে আলাপ জমানোর একটা অভ্যাস রয়েছে আমার। সেই থেকেই জানলাম দোকানের বিক্রি-বাট্টা একটু কম হয়। তবুও তাদের উইকলি গ্রোসারি বিল হয়ে যায়। এটাই বা কম কিসে!

কোলাকের মতো প্রতিটা ছোট্ট শহরের এইরকম চমৎকার গল্প রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত দর্শন করলে আমাদেরকে স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে এবং স্থানীয়দেরও আমাদের সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মাবে।

সুন্দর সুন্দর জায়গায় আমরা ঘুরতে যাবার পাশাপাশি যদি আমরা স্থানীয় শহরগুলো ভিজিট করি তবে আমরা স্থানীয়দের সাথে কানেকশন বাড়াতে পারি। এই চর্চা আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটির পরবর্তী প্রজন্মের জন্য খুবই ভাল হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ঘুরাঘুরিটা শুধু ঠিক চিহ্ন দেওয়া হয়ে না যায়, আমরা যেন পাশাপাশি একটা কালচারাল রিলেশন তৈরী করতে পারি।