সম্প্রতি ঘুরে আসলাম লকমা রাজবাড়ি (Lakma Palace/Lakma Rajbari) থেকে। আমার জানা মতে বাংলাদেশ ভারত সীমানার এত কাছে আর কোনো রাজবাড়ী নেই। রাজবাড়ীর বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রশ্বাস নিলে যেন ভারতের অক্সিজেন বুকে চলে আসে, মাত্র ভারত সীমান্ত ৫০ গজ দূরে এর অবস্থান। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পশ্চিম কড়িয়া গ্রামে অবস্থিত এই রাজবাড়িটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। আনুমানিক প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে লকমা চৌধুরী এই রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন জয়পুরহাট জেলার তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে লকমা চৌধুরীর পরনাতীসহ রাজবাড়ির উত্তরাধিকারী ও স্থায়ী বাসিন্দা মিলিয়ে ৪২ জনের একটি সমিতির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক রাজবাড়ি দেখাশুনা করেন। লকমা রাজবাড়ির অবশিষ্ট প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি ফুলের বাগান ও ফলের চাষ করা হয়।
এপ্রিল-জুন সময়কালে এখানে প্রচুর কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে, যেন বাংলাদেশের পতাকার রং সবুজের মধ্যে লাল। এক অসাধারণ সুন্দর সবুজ এখানকার প্রকৃতি। এখানের সবুজ শ্যামল পরিবেশের মধ্যে বড় ছাতিম গাছ গুলো যেন এক একটা, আইফেল টাওয়ার।
ঢাকা থেকে যেভাবে জয়পুরহাট যাবেন:
ঢাকা থেকে জয়পুরহাট জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। সদর থেকে লকমা রাজবাড়ীর দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি গাড়িতে বা বাসে জয়পুরহাট চলে যেতে পারেন অথবা বিমানে সৈয়দপুর গিয়ে সেখান থেকেও জয়পুরহাট যেতে পারেন। বাসে ভাড়া পড়বে ৪০০-১০০০ টাকা মধ্যে আর সময় লাগবে মোটামুটি ৬ ঘন্টা। এছাড়া কমলাপুর অথবা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে নীলসাগর, একতা, ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে জয়পুরহাট স্টেশনে নেমে যেতে পারবেন। জয়পুরহাট থেকে রিক্সা, ইজি বাইক রিজার্ভ করে সহজেই লকমা রাজবাড়ি পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন:
জয়পুরহাট শহরের রেলস্টেশনের পাশে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে এছাড়া সরকারি সার্কিট হাউজেও থাকতে পারেন।