বান্দরবান শহরের এতো কাছে, নিড়িবিলি পাহাড়ি পরিবেশে এমন একটা রিসোর্ট গড়ে উঠছে, তা জানা ছিল না। আসিফ ভাইয়ের কাছে যখন প্রথম এই রিসোর্টটার কথা শুনলাম ও কিছু ছবি দেখলাম, তখনই আমি এর প্রেমে পড়ে গেলাম। আজকাল আমি খুব সহজেই প্রেমে পড়ে যাই ।

বুধবার রাতে সায়েদাবাদ থেকে রাতের বাসে রওনা দিয়ে পরদিন ভোরে আমি আর আসিফ ভাই নামলাম, বান্দরবান শহরের আগে কানা পাড়া মোড়ে। সেখানে বাবুলের দোকানে চা খেয়ে সিএনজি করে রওনা দিলাম রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। এক কিলোমিটার পাহাড় পাড়ি দিয়ে থামলাম একটা জায়গায়। পথে রাস্তায় কাজ চলছে। সেখান থেকে যেতে হবে আরো কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে। মিনিট পাঁচেক পায়ে হেঁটে পৌছে গেলাম রিসোর্টের গেঁটে।
এটা তো রীতিমতো পাহাড়ি পাড়ার পরিবেশ। সুনসান নীরবতা। কোথাও কেউ নেই। গেট দিয়ে ঢুকতেই ব্ল্যাক আমাদের স্বাগত জানাল, তার লেজ নেড়ে আর আদুরে গলায় শব্দ করে। বুঝলাম আসিফ ভাইয়ের সাথে তার ভালো খাতির। রিসোর্টটা এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে , জানালেন রিসোর্টের মালিক রুবেল ভাই (আসিফ ভাই এর পার্টনার)।
পরের দুই দিন পাহাড়ি শামুক, কাঁকড়া, ব্যাম্বু চিকেন ও চা করে খাওয়ালেন বাসেক, লিয়েন ও অঞ্জন দাদা। আর ঝিরির কাঁকড়া ও শামুকের জোগান দিলো বাঙ্গাল (প্রকৃত নাম জয়) ১২/১৩ বছরের এক তঞ্চৈঙ্গা বালক।
 
সুনসান নীরবতায় একাকী পাহাড়ি পরিবেশে সময় উপভোগ করতে চাইলে এর থেকে ভালো জায়গা আর হয় না, আমার মতে।
 
মনে মনে ভাবলাম, আমার প্রেমে পড়া সার্থক ।