“ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দি লাস্ট ক্রুসেড”, আমিসহ অনেকের কাছেই এই ছবিটি তার পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে। শ্যন কনরি আর হ্যারিসন ফোর্ডের সেকি দুর্দান্ত জুটি! ছবিটির প্রায় ৯০% অংশ যেখানে শুটিং হয়েছে তার নাম হচ্ছে পেত্রা।
দক্ষিণ জর্ডানের মরুভূমি ও পাথরের পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই পেত্রা ছিল এক সময়ে নাবাতিয়ান (Nabataean) সাম্রাজ্যের (আরব বেদুইন উপজাতি) এক জমজমাট বাণিজ্য কেন্দ্র যেখান থেকে সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং জর্ডানের ব্যবসা পরিচালিত হত।

ইতিহাস বলে এই সাম্রাজ্যের সময়কাল ছিল খৃষ্টপূর্বাব্দ ৪০০ সাল থেকে খৃস্টাব্দ ১০৪ সাল পর্যন্ত। এরপর এই নগরী রোমান সাম্রাজ্যের হাতে যায়, প্রায় ২৫০ বছর শাসন করার পর বাইজেন্টাইন (Byzentaine) সাম্রাজ্য প্রায় আরো ৩০০ বছর এর শাসন করে। ঠিক তারপরেই এই শহর ইতিহাস থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
পেত্রা অনেকের কাছে The lost সিটি হিসেবে বিবেচিত, কারণ ৫ম শতাব্দীর কোনো এক সময় এক মারাত্মক ভূমিকম্পে পেত্রা ধ্বংস হয়ে যায় আর বহু শতাব্দী পর্যন্ত বাইরের দুনিয়ার কাছে এর অস্তিত্বের কোনো হদিশ ছিলো না। আনুমানিক ১৮১২ সালে এক সুইস পর্যটক, জোনাথন লুডউইগ এই হারানো নগরীর সন্ধান ফিরে পান। পরবর্তীতে ১৯২৮ সাল থেকে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদরা এর খননকার্য শুরু করে।
চারিদিকে পাথরের পাহাড় হওয়ার জন্য , পুরো নগরীটাই তৈরি হয়েছিল Rock cut architecture এর ধাঁচে।একটি আধুনিক শহরে যা যা থাকা উচিত, সবই ছিল এই ঐতিহাসিক শহরে, যেখানে ঐতিহাসিকদের মতে প্রায় ২০,০০০ মানুষের বসতি ছিল।


পুনরায় আবিস্কার হবার পর এখানে পর্যটকরা ভিড় জমাতে থাকে, খ্যাতি বাড়তে থাকে। ১৯৮৫ সালে UNESCO পেত্রাকে World Heritage Site এর বলে তকমা দেয় আর ২০০৭ সালে 7 Wonders of the World এর একটি বলে ঘোষণা করে।
অবাক হবার মত তথ্য হচ্ছে, পেত্রা বিশেষজ্ঞ ডঃ জেদুন আল মুহাইসেনের মতে এখানকার মাত্র ১৫% আমাদের চোখের সামনে আছে।বাকি ৮৫% আজও মাটির তলায়। তারমানে আরও অনেক রহস্য উন্মোচন বাকি আছে।
যে কোন ট্রাভেলারই তার Wishlist এ পেত্রা দেখার বিষয়টি উপরের দিকেই রাখবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
পড়ুন ফয়সাল জামিল রূপমের আরো লেখা
ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের সকল কর্মকান্ড নট ফর প্রফিট, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে জানাতে হচ্ছে যে আমাদের সম্মানিত লেখকদের জন্য কোনো তহবিল এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। অদূর ভবিষ্যতে তহবিল গঠন করতে পারা গেল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
ঘুরুঞ্চির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে আমাদের সপ্তাহে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বর্তমানে আমাদের কাজ শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক এবং স্ব-অর্থায়নের উপর নির্ভর করে। আপনারা ঘুরুঞ্চিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনুদান দিয়ে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
ঘুরুঞ্চির ভ্রমণ ছবি ব্লগের ছবি থেকে আপনার পছন্দসই ছবি পেপার প্রিন্ট, ফাইন আর্ট প্রিন্ট, ওয়াল আর্ট এবং ডেস্ক আর্ট হিসাবে কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা ছবি কেনাকাটা করলে আমরা অল্প পরিমাণ কমিশন পাব, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যাবস্থার হবে, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যবহার হবে।
আমরা আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।