শৈশব কৈশোরে যখন যশোর টু ঢাকা কিংবা ঢাকা টু গোপালগঞ্জ যেতাম, দিনের বারো-পনের ঘন্টা রাস্তায় চলে যেত!

তখন অত এয়ারকন্ডিশন গাড়ি ছিল না কিংবা চড়া হতো না হয়তো বা। তাছাড়া গাড়ির জানালার পাশে সিটে বসার অগ্রাধিকার ছিল বলে এসির কথা মাথাতেও থাকত না!
বাতাসে নিজের ঘন কালো চুল সামলাতে সামলাতে বাইরের সবুজ আর সবুজ মাঠের ছুটে চলা অবাক হয়ে দেখতাম !

দেখতাম হলুদ রঙের সরিষার গাছ গুলো কি সুন্দর হেলেদুলে নেচে নেচে আমাকে ইশারা করছে। আমার খুব ইচ্ছে হতো বাস হতে নেমে পড়তে, মন চাইতো একটু ঘুরে দেখি জায়গা টা!বাসে তখন হয়তো কিশোর কুমারের সেই বিখ্যাত রোমান্টিক গান “চিরদিন ই তুমি যে আমার ” কিংবা মান্না দের “পৌষের কাছাকাছি রৌদ্র মাখা ঐ দিন” বাজছে আর আমিও আবেগে মহান সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কল্পনায় ভেসে বেড়াচ্ছি !

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ হিসেবে আমাদের ভাবনা, পরিকল্পনা কিংবা ইচ্ছে গুলো ও এখন পরিবর্তিত! এখন আমাদের হাতের মুঠোয় স্মার্ট মোবাইল এর কল্যাণে ঐ মন ভাসানো প্রকৃতির সৌন্দর্য ধরে রাখার সুযোগ হয়েছে!

পথ চলতে চলতে নিজের পছন্দমত সুর আর সঙ্গীত এর মিশেলে দুরের যাত্রা টা অনেক উপভোগ্য আর আকর্ষণীয় হয়েছে!

পথে যেতে যেতে এই অসীম সৌন্দর্যের ঝাঁপি গুলো একটু একটু করে খুলে দেখার সৌভাগ্য আর ইচ্ছে  থাকলে ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলে বাইরে গেলেই আমরা একটি ধানের ওপর  একটা শিশির বিন্দুর সেই ঐশ্বরিক মুহুর্তের সাক্ষী হতে পারব।

জীবনে প্রথম বারের মতো  একলা চলো রে বানীতে উজ্জীবিত এই আমি  কানাডা টু আমেরিকা ভ্রমনের পথে যেতে যেতে  কিছু টা সৌন্দর্যের বাক্সবন্দি করার  চেষ্টা  আর ঘুরুঞ্চির পাঠকের সাথে শেয়ার এর লোভ সামলাতে পারছি না!!

আসুন মন খুলে এই বিশাল ব্রম্নান্ডের অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিন্তু অসাধারণ সৃষ্টি তে চোখ আর মন জুড়াই!!