অস্ট্রেলিয়ার তিমি দেখার মৌসুম বছরের মে মাস থেকে নভেম্বর মাস ধরে চলে। প্রতি বছর ৪০,০০০ এর বেশি হাম্পব্যাক তিমি অ্যান্টার্কটিকা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জলে তাদের বার্ষিক অভিবাসনের জন্য সিডনির উপকূলরেখা বরাবর প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসে। এ সময় তিমিগুলো একে অপরের সাথে মিলিত হতে সমূদ্রের উপরিভাগে অনেক ধরনের আচরন ও খেলাধুলা করে, যা দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ভীড় করে নির্দিষ্ট লোকেশনে। তিমি দেখার জন্য আধুনিক ও চমৎকার সুযোগ সুবিধাসহ অনেক পয়েন্ট রয়েছে যেখানে আপনি গভীর পানির এই দৈত্যদের দেখতে পাবেন।
সাধারণত, তিমিকে আমরা অনেকে মাছ বলেই জানি। কিন্তু তিমি মাছ নয়। যদিও তিমিকে মাছ বলার পেছনে অনেক কারণও আছে। একসময় অনেক বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরাও তিমিকে মাছ মনে করতো। তিমি গভীর জলে বাস করে ও লেজ আছে। তখন বিজ্ঞান বর্তমানের মতো এত আধুনিক ছিলোনা। খৃষ্টপূর্বে প্রথম বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টেটোল তিমিকে স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে ধারণা দিয়েছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা ও সার্বিক বিবেচনা করে একমত হয় যে তিমি মাছ নয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী।
Previous image
Next image
সারাজীবন শুধু গল্প টিভি ও বইয়ে দেখেছি। অনেক মানুষ কয়েকবার সমুদ্রে গিয়েও তিমির দেখা পায় না। সিডনি থেকে প্রায় ২১০ কি:মি: দূর পোর্ট স্টিফেন তিমি দেখার জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসে তিমি ও ডলফিন দেখতে। অনেকেই সমূদ্রে গিয়ে কিছু কিছু সময় শুধুমাত্র তিমির সাঁতার কাটা দেখতে পেলেও তিমি পানি থেকে শূন্যে লাফ দেওয়া দেখতে পায় না। কয়েক বার গিয়েও শুধু তিমির মাথা শরীর ও লেজ দেখেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে তিমির শূন্যে লাফ দেওয়া দেখতে পাবেন। আমরা অবশ্য প্রথমবার গিয়েই বেশ কয়েক বার লাফ দেওয়া দেখতে পেয়েছি।
বিশাল সমূদ্রের কোন নির্দিষ্ট যায়গা ছাড়া মাত্র ৪ সেকেন্ডের জন্য পানির উপরে লাফ দিয়েছিলো এই সময়ের মধ্যে ১০ টা ছবি তুলেছি। সেই দিক সত্যিই আমি অনেক ভাগ্যবান যে প্রথম বারে তিমি দেখতে পেয়েছি ও কিছু ছবি তুলতে পেরেছি।
Post Views: 222