শরীর যেহেতু দুই মহাদেশের সময়ের পার্থক্যের সাথে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করছে, তাই কিছুটা ঘুমানো দরকার। তবুও খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙল ভোরে।

আমি জানি এই দেশের আটাকামা মরুভূমিতে বিশাল পর্বত রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্কতম অঞ্চল। কখনো বৃষ্টি হয় না। অনেকগুলি পর্বত ৬,০০০ মিটার উঁচু। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ধরে এবং আন্দিজ মাউন্টেন রেঞ্জ বরাবর দীর্ঘ লম্বা ফালি দেশ, চিলি। ২০১৩, যখন গিয়েছিলাম ও লিখেছি, ৪০তম উন্নত দেশ এবং মূলত তামা থেকে রফতানি অর্থের বদৌলতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। দেখে মনে হচ্ছে চিলিয়ান সান্টিয়াগোকে একটি আধুনিক শহর গড়ে তুলতে বেশ কিছুটা অর্থ ব্যয় করেছে। এই শহর ছেড়ে এক সপ্তাহ পরে আমি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আন্তোফাগাস্টায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। পাহাড়ের চূড়ার খুব কাছেই তামার খনিগুলি দেখতে যাবো, আশা করি এটি একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হবে।
আজ ক্যাসা পেড্রা কনভেনশন সেন্টারে কপার ২০১৩ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি নিলাম যা তামার খনি, উত্তোলন, পানি নিষ্কাশন এবং উৎপাদন নিয়ে এমন কোনো বিষয় নেই, যা খনি পেশাদারদের জমায়েতে আলোচনা হবে না। মূল প্রতিনিধিদের সাথে কথা হোল, বিশেষত একজন, একটি বৃহ্ৎ বহুজাতিক কোম্পানীর মালিক। তারা খনি সরঞ্জামাদি তৈরী ও সরবরাহ করে। এমআইটির অন্য এক একাডেমিকের সাথে গবেষনা বিষয়ে, বেশ দুজনের কাছেই আকর্ষনীয়, এমন সব বিষয়ে আলাপ হলো। সে আমাকে তার যুক্তরাষ্ট্রের গবেষনা দেখতে আমন্ত্রন জানালো যদি আমার ২০১৪ সালের সান দিয়েগো ধাতুবিদ্যার সম্মেলনের সময়সূচীর সাথে মেলে। আমার গবেষনা পানি শুকানোর প্রযুক্তির সাথে, তাই কীভাবে একটি প্রযুক্তি দিয়ে তামার আকরিক প্রক্রিয়াজাত করতে পারি, সে সম্পর্কে কিছু সময় ব্যয় করেছি। এ বিষয়ে কিছু আকর্ষণীয় আলোচনা হলো। কোন কার্বন নির্গমন বা নি:সরন ছাড়া কিভাবে তামা ধাতু তৈরি করা যায়, সেটা নিয়ে আমার গবেষনা তখন।
বিকেলে কিছুটা ফ্রি সময় পেয়েছি। আমি ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে ‘লস হিরোইস’ যাওয়ার জন্য কথোপকথন করছিলাম। সে আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন আমি পৃথিবীর বাইরে কোন গ্রহে যাওযার কথা বলছি।ওহ ‘লো হিরোই? এখানে এটি স্পানিশ ভাষায় এভাবেই উচ্চারিত হয় যদিও আমি বানান দেখে ভূল উচ্চারন করেছি। জায়গাগুলির নাম উচ্চারণে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। আমি মেট্রো স্টেশন কাউন্টারে মহিলাটিকে ‘পেড্রো ডি ভালদিভিয়া’ এর টিকিটের জন্য জিজ্ঞাসা করেছি তবে আমি মনে করি আমি ভালভাদিয়া উচ্চারণ করেছি। মহিলাটি হেসেছিল, তবে আমার বিআইপি কার্ড লোড করতে দয়া করে সাহায্য করেছিল। এই বিপ কার্ড যা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে, সান্টিয়াগোতে যে কোনও জায়গায় যেতে ব্যবহৃত হয়।




স্পষ্টতই, এই স্প্যানিয়ার্ড মিস্টার ভালদিভিয়া ১২ই ফেব্রুয়ারী ১৫৪১ সালে সান্টিয়াগো শহর প্রতিষ্ঠা করেছিল। বুঝতে পারি নি যে এই ট্যাক্সিটি আমার হোটেলের পাশ দিয়ে যাবে এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবে এই জায়গাটিতে যাওয়ার জন্য আমাকে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হবে। ট্যাক্সি এখানে সস্তা নয়, সান্টিয়াগোতেও খাবারও সস্তা নয়। আমাকে মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ পথে নামিয়ে দিল।
তারপরে আমি ও’গিনস রোড ধরে হাঁটলাম, আমার হোটেলের দিকে ফিরে। আমি মেট্রো স্টেশন মোনেডা এবং ইউনিভার্সিডেড ডি চিলি পেরিয়েছি এবং হাঁটছি। দেখছি বিশাল জনতা, তাদের প্রবাহ রাস্তা ধরে, মনে হচ্ছিল যেন মলের মতো। রাস্তার নাম আহুমেদা। অবশ্যই আহমেদের কিছু নামের সাথে মিল থাকতে পারে, কারণ আমি জেনেছিলাম কিছু স্প্যানিশ মুসলমানও বসতি গড়ার প্রথম দিনগুলিতে এখানে এসেছিল, যদিও এখনও কোনও মসজিদ দেখিনি। আমি দেখতে পেলাম এক ফর্সা রঙের স্থানীয় মানুষ রাস্তায় ভারতীয় সন্ন্যাসীর মতো পোষাক নিয়ে হাঁটছে, এমনকি ব্রাহ্মণের মতো মাথায় একটি ঝুটি ও পিঠে পইতে এবং নাকের উপর রসকলি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সে ভারত থেকে নাকি নেপালের? সে বলল চিলিয়ান, তবে হরে কৃষ্ণ ভক্ত। সেই রাস্তায় হরে কৃষ্ণ মন্দির আছে, এটা সেন্ট্রাল সান্টিয়াগোতে হবে। সে ক্ষমা চেয়ে বলল, তার ইংরেজি ভাল নয়। মনে হল সে বেশ একজন ভাল মানুষ।
জনতার মধ্য দিয়ে আমি ক্যাথেড্রাল রোড ক্রস করে সান্টিয়াগোর প্রাচীনতম ক্যাথেড্রালের সামনে এসে পৌঁছেছি। প্লাজা ডি আরমাসের কাছাকাছি জাতীয় ইতিহাসের মিউজিয়াম এবং সান্টিয়াগো ট্যুরিস্ট তথ্যের জায়গার পাশ দিয়ে গিয়ে, কিছুক্ষণের জন্য একটি সুন্দর পার্কে বিশ্রাম নিলাম।
আমি মল ডেল সেন্ট্রোর মধ্য দিয়ে পুঁন্টে ক্যাল ওয়াই ক্যান্টো স্টেশনের দিকে পুয়েন্ট রাস্তায় গেলাম যেখানে প্রচুর স্যুভেনির শপ, চিলির হস্তশিল্প বিক্রি হচ্ছে। আমি কাঠের ফ্ল্যাট বেসের উপর একটি পাতলা তামা শিটের উপর গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি এবং তাদের চিহ্নগুলি সহ চিলির মানচিত্রের একটি শোপিস কিনেছি। আমার এক বন্ধু বলেছিল ‘রোজহিপ’ তেল চিলিতে বিখ্যাত। প্রসাধন সামগ্রী। বিভিন্ন ধরণের তেল প্রদর্শনীতে থাকা সত্ত্বেও এর কোনও সন্ধান পেলাম না। দেখে মনে হচ্ছে, আমি কী বলছিলাম কেউই বুঝতে পারছে না। তারা বলছে বা এমন কিছু দিচ্ছে যা আমি বুঝতে পারছি না, মনে হয় না সঠিক পণ্য।



তারপরে সান পাবলো রাস্তায় ডান দিকে ঘুরে একটু হেটে ক্ষুধা অনুভব করলাম। প্রচুর খাবারের জায়গা আছে তবে সেগুলি আমার কাছে ঠিক বলে মনে হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত ঢাকার নিউ মার্কেটের গলির মধ্যের মতো একটি সুন্দর রেস্তোঁরা খুঁজে পেলাম। ডানডে অগাস্টো রেস্তোঁরাটিতে অনন্য ভাবে সাজানো টেবিল। এই বিল্ডিংটির স্থাপত্য বেশ আকর্ষণীয়। ইকুয়েডরের একজন ওয়েটার আমার নিজের জাতীয়তা এবং আদিবাস ও দেশ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইল। আশপাশের গরীব দেশের লোকেরা এখানে কাজের জন্য আসে। সে তার দেশের রাজধানী কিটোর অধিবাসী।
সান পাবলো রাস্তাটি শেষ হয়েছে। তারপরে আমি ইসমাইল ভালদেজ ভার্গারা রাস্তায়। প্রথম দিকের অন্য আর একজন মুসলিম এক্সপ্লোরার বা ব্যবসায়ীর নামে হয়ে থাকতে পারে। ব্যাকোদানো স্টেশনের দিকে রিও ম্যাপোচো নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করি। সান্টিয়াগো এই ম্যাপোচো নদীটির দুপাশে বিভক্ত। রিও অর্থ নদী। বেশ কয়েকটি সেতু রয়েছে যা এক পাশ দিয়ে অন্যদিকে চলে গেছে। বর্তমান এ নদীটির স্রোতের গতি এখনো বেশ শক্তিশালী যেহেতু এটি অ্যান্ডিজ পর্বতমালায় উৎপত্তি।
এখন চিলির গ্রীষ্মকাল, সুতরাং, পর্বতটি এখনও কিছু তুষার দিয়ে ঢাকা থাকলেও বরফ গলে যাচ্ছে এবং এতেই নদীর পানির দ্রুত প্রবাহ। নদীটির মূলত উভয় তীর কংক্রিট এবং নদীর তলার কাছাকাছি কিছুটা বেঁধে ফেলা, সুতরাং এটি নদীর চেয়ে কৃত্তিম খালের মতোই দেখাচ্ছে। একটা বড় পার্কের ভিতর দিয়ে, সমকালীন আর্টস মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে ব্যাকোদানো স্টেশনে পৌঁছুলাম। আমি সান্টিয়াগো শহরতলিতে কয়েক কিলোমিটার হেঁটেছি। পেড্রো ডি ভালদিভিয়ায় এসে পাতাল রেল নিয়ে আবার শেরাটনে চলে আসলাম। সন্ধ্যায় কিছুটা বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
যখন বাসটি আমার হোটেলে ফিরে আসছিল, গান্ধীজির মূর্তি দেখে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আমি ভাবলাম সময় পেলে সকালে ঘুরে দেখতে হবে। তাই সকালের নাস্তার পর খুঁজতে গেলাম জায়গাটি। আবিস্কার করলাম, এই বড় পার্কটি আমার হোটেল থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ। যখন আমি কাছাকাছি যাচ্ছিলাম, গান্ধীজির বসার ভঙ্গি এবং পোশাক স্পষ্ট হয়ে উঠল। পাশে আরও দুজনের মূর্তি, আমি ভেবেছিলাম দক্ষিণ আমেরিকান কেও হতে পারে। আমি আরো দেখলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতবিতান হাতে, স্পষ্ট হতে লাগল। তারপর গান্ধীজির বামে ছিলেন পন্ডিত নেহেরু। কোন ইংরেজি বর্ণনা ছিল না, তাই আমি একটু তদন্ত করার চেষ্টা করলাম। কেউ আমাকে বুঝলো না এবং এমন কাওকে পেলাম না যে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। রবিবার তাই রাস্তাঘাট একটু বেশ ফাঁকা। যা আমি অস্পষ্টভাবে একজনের কাছ থেকে ধারনা করে বুঝতে পারলাম এটি কমপক্ষে কুড়ি বছর আগে তৈরী। তারপর অন্য একজনের সাথে কথোপকথন করে জায়গার নাম পাওয়া গেল, সে প্লাজা লা ইন্ডিয়া উচ্চারণ করলো।




আমার একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ইউরোপে যখন আমি একটি পার্কের ভেতর দিয়ে প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মেলনে যেতাম। রবীন্দ্রনাথের মত দেখতে একটি মূর্তির মাথা দেখতে পেতাম। তারপর একটু কাছে গিয়ে দেখি লেখা – ঠাকুরোভা স্ট্রিটের ঠাকুরোভা পার্ক। রবি ঠাকুর যখন চেকোস্লোভাকিয়া গিয়েছিলেন তাঁর সম্মানে হয়ত পার্কটি।
এটা বেশ আবেগময় অনুভূতি, যখন কেও অজানা জায়গায় দেখে আশা করবে না সেখানে অপ্রত্যাশিত ভাবে নিজের সাথে সম্পর্কিত কিছু থাকতে পারে। আমি মিস্টার বিন এর মতো আকার ঈংগিতের কৌশল ব্যবহার করে চিলির সেই দম্পতিদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম, সেই মূর্তিগুলো আমার সাথে সম্পর্কিত। অন্য যে লোকটি খুব কষ্টে একটু ভালো ইংরেজিতে কথা বলতে পারল, সে বলেছিল – এটা তাদের জন্য নতুন জানা হলো। অন্তত এক চিলিয়ানকে বাংলা সাহিত্যের নোবেল প্রাপ্তি ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলাম। সে আগ্রহ নিয়ে শুনল ভারতীয় উপমহাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বাংলার সুপ্রাচীন দিনগুলির কথা ও আমাদের মহামানবদের সম্পর্কে।
ল্যান চিলি এয়ারবাস ২০২০ ফ্লাইট সান্তিয়াগো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করল। সৌভাগ্যবশত একটি জানালার পাশে আসন পেলাম। অ্যান্ডিজ রেঞ্জ ছিল আমার ডান দিক। বাম দিকে বিপুল নীল জলরাশির প্রশান্ত মহাসাগর। আমি ভেবেছিলাম যে ফ্লাইটপথ দেখানো হয়েছে তা পানির উপরে, কিন্তু সব সময় মনে হচ্ছিল, এটি প্রায় ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় স্থলভাগের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, যতক্ষণ না এটি বন্দর নগরী অ্যান্টোফাগাস্টায় পৌঁছায়। তূলনামুলক ভাবে কম উচ্চতায়। দিনটি পুরোপুরি রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল, তাই পর্বতশ্রেণীগুলি আরও স্পষ্ট দেখা গেল।
আকাশ থেকে দেখা ফটোতে দেখার চেয়ে ভিন্ন কিন্তু আকাশ থেকে তোলা ফটো থেকে এই শৈলমালার বিশালতার কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে। যে শব্দগুলি এই পর্বতকে বর্ণনা করতে পারে তা হলো – রহস্যময়, ভীতিজনক, বন্ধ্যা, অনুর্বর, নগ্ন, রঙ এবং রচনা ও সৃষ্টিতে বৈচিত্র্যময় রুক্ষ পাথুরে, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠোর প্রানহীন উষর প্রাকৃতিক ভূখণ্ড। সেই সাথে সুস্নিগ্ধ শান্ত তবে অসমতল ভাঁজগুলি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, গঠনটি অত্যাশ্চর্য এবং আমি মনে করি আমি এই পাহাড়ী শিলা খন্ডের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি। এক মুহূর্তের জন্যও জানালা থেকে চোখ সরাতে পারলাম না।
সান্টিয়াগো অঞ্চল থেকে এন্টোফাগাস্টার প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক আলাদা। আটাকামা মরুভূমিতে, গাছ নেই, এখানে প্রায় কখনও বৃষ্টি হয় না। প্রতিটি পর্বতের নিখুঁত আকার বিস্ময়কর এবং মানুষের কল্পনাকে অন্য এক জগতে উড়িয়ে নিতে পারে। মনে হলো আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়ে ‘ভূতত্ত্ব’ বিষয়ে অধ্যয়ন করি এবং বোঝার চেষ্টা করি যে কেন একটি বিশেষ আকৃতি এবং আকারে এই পর্বত তৈরি হয়েছিল এবং এই বিশাল বৈচিত্র্যের সাথে। আমি খনির বর্জ্য টেইলিং বাঁধের আকার থেকে কিছু খনির কাঠোমোগত অংশ দেখতে পারছিলাম। কিছু পর্বতের চূড়ায় খনির অপারেশনগুলি দেখা যাচ্ছে।
আন্তাফাগাস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের সাথে কাটিয়ে গেলাম লা সেরেনা দেখতে। গাড়ী চলছে জানলা খুলে। অসম্ভব সুন্দর সমুদ্রের তীরের শহর। কখনোও বৃষ্টি না থাকলেও প্রচন্ড বাতাসের তোড়, ও বাতাসে মনে হয় সাগর থেকে শুধু লবন পানির ঝাপটা মুখের ত্বকের উপর লেগে একটা আস্তরণ তৈরি করল। রাস্তার পাশে কিছু বৃক্ষ কৃত্তিম জল দিয়ে বাচিয়ে শোভা বর্ধন করা হয়েছে।
এরপর সপ্তাহে আবার সান্টিয়াগো হয়ে আরতুরো মেরিনো বেনিতেজ এয়ারপোর্ট কে বিদায় জানালাম অকল্যান্ডের দিকে, তারপর আবার ঘরে ফেরা মেলবোর্ন।