দক্ষিণ সুদানের অধিবাসীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে ডিংকা (Dinka) গোত্রের লোকজন । যারা পৃথিবীর অন্যতম লম্বা মানব হিসেবেও স্বীকৃত।

গরু ডিংকাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যগত একটি অংশ বলেই বিবেচিত হয়। অন্যান্য গোত্রের মধ্যেও গরুর গুরুত্ব অপরিসীম। মুন্দারি নামের আর একটি গোত্রও বৃহত্তর সুদানে গরু লালনপালন এর জন্য বিশেষ ভাবে বিখ্যাত। এ সব গরু আবার বিশাল লম্বা শিং এর অধিকারী হয়ে থাকে যা গরুর মালিকের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক।
 
গরুই এদের প্রধান সম্পদ। গরু লালন-পালনকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন আবর্তিত হয়। সাধারণত পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ক্যাচাল বা ঝামেলা তৈরি হয় অর্থ, সম্পদ, ক্ষমতা বা কোন নারীকে কেন্দ্র করে। এইখানে সব ক্যাচালের মূল এক জায়গায়-তা হলো গরু। কাউবয়দের প্রায় সবসময়ই এ কে ৪৭ হাতে গরু পাহারা দিতে দেখা যায়।
 
নিয়মিত দুধ পানের কারণে তারা বেশ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলে ধারণা করা হয়। যেহেতু কোল্ড ড্রিংকস এখানে খুব একটা পাওয়া যায় না তাই প্রায়ই তারা কোল্ড ড্রিংকস এর বিকল্প হিসেবে দুধের পাশাপাশি গরুর প্রস্রাবও পান করে থাকেন। গরু যখন প্রস্রাব করে, পুরুষরা তখন নুইয়ে পড়ে তা খেয়ে ফেলে। তাদের ভাষ্যমতে, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এতে থাকা অ্যামোনিয়া তাদের চুলকে কমলা রঙে রাঙিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
 
এছাড়া গরুর গোবর তারা রান্নার কাজে ব্যবহার করেন। এতে পীচ-রঙের সুন্দর ছাই উৎপাদন হয়। এই ছাইকে তারা জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। রোদের তীব্রতা থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতেও তারা এই ছাই ব্যবহার করে থাকে।মানে সানস্ক্রিন আর কি!
 
গরু এখানে শুধু পালন করার বস্তু না। গরু পালন রীতিমতো এদের রিচুয়াল এর অংশ।
 
মনে ফুর্তি নিয়ে বেঁচে থাকো ডিংকা মামারা। আর গরুর পিঠে উঠে ডিংকা চিকা ডিংকা চিকা বলে গান গাও।