ইতিহাসের শিক্ষা

Avatar

Byড: নওশাদুল হক, অস্ট্রেলিয়া

Jan 14, 2024 #অপেরা, #অস্ট্রেলিয়া, #আদিবাসী, #আফ্রিকা, #আবহাওয়া, #আমেরিকা, #আরব, #ইউরোপ, #ইতিহাস, #ইংলিশ, #উপভোগ্য, #এয়ারপোর্ট, #কড়ই, #কদম, #কফি, #কম্বোডিয়া, #কলকাতা, #কুতুব মিনার, #কুয়াশা, #গবেষনা, #গ্রীক, #ঘুরুঞ্চি, #চেন্নাই, #ছুটি, #জংগল, #জাদুঘর, #ঝড়, #ট্যাক্সি, #ট্রাভেল, #ড: নওশাদুল হক, #ঢাকা, #তূর্কী, #দিল্লী, #দেয়ালচিত্র, #ধর্ম, #নিম, #নিরিবিলি, #পবিত্র, #পরিকল্পনা, #পর্যটক, #পর্যটন, #পাকিস্থান, #পাহাড়পুর, #পৃথিবী, #প্রকৃতি, #বাংলাদেশ, #বাঁশ, #বৃটিশ, #বৃষ্টি, #বেড়ানো, #বৌদ্ধ, #ভারত, #ভ্রমণ, #মধ্যপ্রাচ্য, #মন্দির, #মসজিদ, #মহাদেশ, #মহেন্জোদারো, #মাচুপিচু, #মাদ্রাজ, #মাসাইমারা, #মিশর, #মেলবোর্ন, #মৌসুম, #রোমান, #শহর, #সভ্যতা, #সমাজ, #সংরক্ষন, #সিডনি, #সিন্ধু, #সুরক্ষিত, #সোমপুর, #হরপ্পা, #হরিন
কথায় বলে ছুটি কাটানো ও ভ্রমন সর্বব্যাধি নিরাময়ের মহৌষধ। জীবনটা ছোট কিন্তু পৃথিবীটি বৃহৎ। কতকিছু দেখার ও উপভোগের আছে প্রত্যেকটি মহাদেশে। দক্ষিন আমেরিকার মাচুপিচু, আফ্রিকার মিশরীয় সভ্যতা বা মাসাইমারার জংগল, আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, ইউরোপের প্রাচীন গ্রীক, রোমান বা অপেক্ষাকৃত আধুনিক বৃটিশ রাজ্যগুলি, মধ্যপ্রাচ্যের অতীতের সুমেরীয় সভ্যতা থেকে আরবীয় বা তূর্কী ইসলামিক সভ্যতা, সমাজ ও ইতিহাস সত্যিই আকর্ষনীয়।
  
সবার উপরে অষ্ট্রেলিয়ার ৮০,০০০ হাজার বছরের পুরোনো আদিবাসীদের ছেদহীন ধারাবাহিক সমাজ, সভ্যতা ও জীবন সবকিছুকে হার মানাবে।
  
এতদিন বাড়ীর কাছে হরপ্পা বা মহেন্জোদারোর সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। প্রাচীন অতীতের তক্ষশীলা ও ওইসবের বেশীরভাগ জায়গা বর্তমান পাকিস্থানের অংশ। বিজ্ঞানের ছাত্রদের ইতিহাস পড়ার সুযোগ হয় না। আমার ধারনা অতীত ইতিহাস ঠিকমত পড়লে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি কঠিন হবে। কিছুটা হতাশাজনক যে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলি বিশেষত ভারতের ভূগোল সম্পর্কেও বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সামান্যই শেখার সুযোগ হয়। এসব নিয়ে এখনো যে খুব জানি তা নয়, তবে কর্মের সুবাদে কিছু জায়গা ঘোরাঘুরি হলে সে জায়গা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা বাড়ে। এখনো কেউ কোথায় নাগপুর জিজ্ঞেস করলে আমি ভাবতে থাকবো। ভ্রমন সহজ নয়। পর্যাপ্ত সময় ও ব্যাংকে সন্চিত পদার্থের যথার্থ সংযোগের প্রয়োজন হয়। এ দুটির কোনটাই অঢেল নয়। একটি থাকলে আরেকটি সাধারনত থাকে না। তবে, ভ্রমণে যাবার ইচ্ছে থাকাটাও ভয়াবহ রকম গুরুত্বপূর্ণ। 
ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে চেন্নাই যাওযার কথা আমার। ঢাকা থেকে বলা হলো চেন্নাই এয়ারপোর্ট ঝড়, বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারনে জলের নীচে। আপনার সিদ্ধান্ত তবে আমরা নিষেধ করছি। কলকাতা পর্যন্ত যেতে পারেন তবে আপনার নিজ দায়িত্বে। আমার গন্তব্য ইন্ডিয়ান ইন্সষ্টিটিউট অফ টেকনোলজি মাদ্রাজ। ভাবলাম কলকাতা পর্যন্ত যাই, পরে দেখা যাবে। দুদিন চেন্নাই কাটিয়ে দিল্লী যাওয়ার কথা। কলকাতা নামার পর বলল, শহরে চলে যান কারন ২৪ ঘন্টা পর বলা যাবে কি হবে। পরদিন আমাকে চেন্নাই যেতে হবে দিল্লীর কানেকটিং ফ্লাইটের জন্য।
 
 কলকাতা হোটেলের বন্দোবস্ত করছি। একটু পর এয়ারলাইন্সের একজন বলল আপনাকে রাত আটটার ফ্লাইটে দিল্লী পাঠাতে পারি যদি আপনি চান। ভাবলাম পরে আমাকে যেতেই হবে দিল্লীতে, তো এখনই যাই। তাড়াহুড়ো করে আমার হোস্ট একটি হোটেল ঠিক করে দিলো এক রাতের জন্য। এখন ভারতে বিবাহ মৌসুম, বেশীর ভাগ হোটেলের কোনো রুম নেই। যাহোক দিল্লীতে রওনা দিলাম একটু পরে।
 
 এলাহাবাদ থেকে আমার বন্ধুবর ও গবেষনা সহযোগী অধ্যাপকের পরামর্শ পাচ্ছিলাম। সাধারনত হোটেলের ঠিক করা গাড়িতে যাই। হোটেলের ড্রাইভার খুঁজে নেয় এয়ারপোর্ট থেকে বেরুনোর পর। এবারে ট্যাক্সি নিলাম প্রিপেড। যত টাকা ট্যাক্সি ভাড়া তার প্রায় অর্ধেক সে ব্যাগ নামানোর জন্য বখশিশ চাইলো। যাহোক বেশ রাত হোলো হোটেলে সবকিছু গুছিয়ে ঘুমোতে।
পরদিন ব্রেকফাস্ট সেরে ভাবলাম একটা পূর্ন অপরিকল্পিত দিন পাওয়া গেলো। একটু পাশেই ঐ হোটেলেরই সিস্টার কনসার্নের একটি হোটেলে আমাকে পাঠালো পরের রাতটির জন্য। আবার চেকইন করে ভাবলাম কি করা যায়। চাইলে একটি কাজের মিটিং এ্যরেন্জ করা যেতে পারে। চিন্তা করলাম কাউকে জানানোর দরকার নেই। পরবর্তী প্রতি দিনই কোনো কোনো কাজ আছে।
 
 দিল্লীতে আগেও এসেছি। কিছু জায়গা দেখার সুযোগ হয়েছিলো। প্রথমবার পুরোনো দিল্লী, কুতুব মিনার কমপ্লেক্স ও লাল কেল্লা, নিজামউদ্দীনের দরগাহ, হুমায়নের সমাধি ও আরো কিছু জায়গা দেখেছিলাম। পরে জামে মসজিদ সহ আরো কিছু পর্যটন কেন্দ্র। নিজামউদ্দিনের দরগায় জুতো বাইরে রাখতে হয়। মালদার এক বাংগালী সেই জুতো রাখার কাজ করতো যার সাথে বেশ খোশগল্প জমেছিলো, কত টাকা সে দিনে আয় করে সেসব নিয়ে সেই বারে। মনে হয়েছিল নিজেই ওর সাথে বসে যাই। কত মানুষের সাথে মেশার সুযোগ। বাংলাদেশী এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা একই সময় মাজার দর্শন করছিলো। আমাকে বললো, বহুত পাওযারফুল ও খতরনাক আদমী হ্যায়
 
 ঐতিহাসিক দিল্লী, সবুজ বাগান বা বনবীথির দিল্লী, নতুন বা পুরাতন দিল্লী, বাজারের দিল্লী ও সবশেষে ডিভাইন বা আধ্মাতিকতার শহর দিল্লী, কি দেখবেন। এবারে শেষোক্তটি বেছে নিলাম। শুরু করেছিলাম লোটাস টেম্পল দিয়ে। এটাই বাহাই ধর্মের পবিত্র প্রার্থনার জায়গা। ভিতরটি খুবই মনোরম এবং শান্ত নিরিবিলি জায়গা। যে কেউ যতক্ষন ইচ্ছা ধ্যান করতে পারে ভিতরে। সিডনির অপেরা হাউজের সাথে বেশ মিল আছে। কোনটি আগে নির্মিত তা জানিনে। চারিপাশে জলাধার গুলিতে অস্বাভাবিক হালকা নীল রঙের স্বচ্ছ পানি অনেকটা সুইমিং পুলের মত। একটি জাদুঘর ও তথ্যকেন্দ্র আছে পাশে এই ধর্মের প্রবর্তক বাহাউল্লাহ, তার জন্ম ও জীবনালেখ্যসহ ও বিভিন্ন সংগ্রহাবলীসহ।
 
 তারপর একে একে ইসকন, বিরলা, বৌদ্ধ মন্দিরগুলি দেখলাম। সবশেষে গেলাম আখশর ধাম মন্দিরে। এটি বেশ পরিচ্ছন্ন নতুন মন্দির ও ভিতরের কারুকার্য অসাধারন সুন্দর। আমি কিছু মাস পূ্র্বে কম্বোডিয়ার প্রাচীন সিয়েম রীপ শহরে আংকর ভাট মন্দিররাজি দেখেছিলাম। দিল্লীর মন্দিরটি তার নতুন এক ভার্সন মনে হবে যদিও অনেক তফাৎ আছে মৌলিক ও ধর্মীয় বিবেচনায়। প্রাচীন সমাজের বিভিন্ন বিষয় দেয়ালচিত্র ও নিখুঁত ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অনেক দেবদেবীর মূর্তিও আছে সেখানে। এত বড় জায়গা, মনে হোল প্রথমে গেলেই ভালো হতো বা আরো অনেকটা সময় থাকতে পারলে বেশ হতো। তবে স্থানীয় এক গবেষনা সহকর্মী ও আরেক বিজ্ঞানীর সাথে সন্ধার পর মিটিং ও ডিনারের পরিকল্পনা থাকায় চলে আসতে হোল।
প্রতিদিন বেশ ভোরেই ঘুম ভাঙতো। হোটেলটি দক্ষিন দিল্লীর হাউজে খাসের ডিয়ার পার্কের পাশে। পরদিন কুয়াশার চাদরঢাকা ভোরে পার্কটি ঘুরে দেখলাম। ডিয়ার পার্কটিতে সত্যিই অনেক চিত্রল হরিন রয়েছে। অনেকখানি জায়গা পুরোনো বিভিন্ন ভারতীয় কড়ই, নিম, কদম, বুনো ঝোঁপ, বাঁশ, লতাগুল্মসহ বৃক্ষের জংগল। কিন্তু ভিতর দিয়ে সুন্দর পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে কেউ আনন্দময় সময় কাটাতে পারবে পার্কটিতে। আমি না জেনেই হাঁটছিলাম। পরে আবিস্কার করছিলাম তিন চারটি অতি প্রাচীন স্থাপনা লোদী রাজবংশের সমকালীন। সিকান্দার ও ইব্রাহীম লোদী বেশ লম্বা সময় চৌদ্দ ও পনের শতকে দিল্লীর শাসক ছিলেন। এখন ভিতরে তূর্কি স্থাপত্যের আদলে বাগ-ই-আলম কা গম্বুদ, কালি ঘুমটি ও চৌদ্দশ সালে নির্মিত একটি মসজিদ দেখলাম। বিরাট গম্বুজের ভিতরের দিকে চারপাশে কালিমাসহ, পবিত্র কোরানের আয়াত আরবি ক্যালিগ্রাফি পরিস্কার। খুব বেশী রক্ষনাবেক্ষন ও দেখাশুনা করা হয় তা মনে হোলো না।
  
তেরশ সালের সময়ের ফিরোজ শাহের সমাধি কমপ্লেক্স, মাদ্রাসা, মসজিদ দেখে মনে হোল এত পুরোনো স্থাপনাগুলি খুবই পরিকল্পনামাফিক নির্মিতো, একটি কৃত্তিম বড় লেকের কিনারায়, যেটার নাম হাউজে খাস ট্যাংক। পরে দিল্লীতে কর্মরত বাংগালী বিজ্ঞানী আমাকে নিয়ে গেলো চিত্তরন্জন পার্কে যেখানে এক টুকরো কলকাতার দেখা মিললো। ইলিশ মাছের ঝোল দিয়ে সাদা ভাত, বাংগালীর প্রিয় বিভিন্ন মিষ্টি মালপোয়াসহ, মিষ্টি পান খেয়ে ও সাথে নিয়ে ফিরলাম হোটেলে। সত্যি বলতে কি ভারতের বেশীরভাগ প্রত্নতাত্ত্বিক জায়গাগুলি বৃটিশের সময় উদঘাটিত, খননকৃত ও সংরক্ষিত। কানিংহাম নামে এক ইংরেজের এতে বিশেষ অবদান আছে।
এমনকি বাংলাদেশে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বিখ্যাত পুরোনো স্থাপনা প্রাচীন সোমপুর বা বর্তমান পাহাড়পুরও বৃটিশের সময়ে আবিস্কার, খনন ও সংরক্ষন শুরু হয়। আমরা অনেক সময় না জেনে ওদের বিপক্ষে অনেক কিছু বলি কিন্তু বিভিন্ন নির্দেশক ও চিন্তা ভাবনায় ওরা আমাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিলো ও আছে। আমি বৃটিশ শহরে যত ছোটই হোক, ন্যুনতম একটি যাদুঘর ও পাঠাগার দেখেছি। সেটি অষ্ট্রেলিয়াতেও বৃটিশদের কারনে চলমান হয়েছে, অনেক ছোট ছোট জায়গায়ও। আমরা পুরোনো সংগ্রহগুলি ফেরত চাইতে পারি কিন্তু সেগুলির যথাযথ যত্ন, সংরক্ষন, প্রদর্শনের বিষয়ে আমাদের সামর্থ্য, সংগতি ও ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
  
পরে আমি থাকলাম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে যার দেয়াল লোদী গার্ডেনের সাথে। বেশ ভোর সকালে উঠে সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলাম সেখানে যাওয়া নিরাপদ কিনা। তারা বলল এক বেওয়ারিশ কুকুর ছাড়া কোনো ভয় নেই। সেখানে যেতেই দেখলাম অনেক মানুষ প্রাত:ভ্রমনে বেরিয়েছে। এর আগেও লোদী গার্ডেনে গিয়েছিলাম যখন প্রথম দিল্লী এসে অশোক হোটেলে ছিলাম। মনেও নেই আর তখন ওভাবে দেখা হয়নি। ইতিহাসও জানতাম না, লোদী আবার কে? আমি এবার ঘুরে ঘুরে, শীশ গম্বুদ, বড় গম্বুদ ও মসজিদ, অতিথিশালা, আরো একটি মসজিদ, সিকান্দার লোদীর মাজার, সাইয়েদ শাহের সমাধি দেখলাম। আমাদের মেলবোর্নের তূর্কী মসজিদগুলির গম্বুজের ভিতরের চারপাশে যেরকম কালিমাসহ আরবী ক্যালিগ্রাফির নীলরঙসহ বিভিন্ন রঙের বাহারী ফুলের নকশা অনেকটা সেরকম। এখনো বেশ পরিস্কার মনোমুগ্ধকর কারুকার্য্যসহ পাথরের গায়ের কাজ ও মূল্যবান পাথর বসানোসহ, দৃশ্যমান।
কুয়াশা চাদরে ঢাকা বাগিচায় কিছুক্ষন কয়েকশ বছর পিছনে হারিয়েছিলাম। এক সময় এখানে রাজা, বাদশাহ ও তাদের পারিষদ ও অতিথিগন একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। এরকম স্থাপনাগুলি না থাকলে সেসময়ের মানুষেরা কত দক্ষ ছিল তা আমরা জানতে পারতাম না।
  
এগুলিও খুব বেশী যে দেখাশুনা করা হয়, তা মনে হয়নি। ভিতরে কে কাকে ভালবাসে এরকম অনেক রাম শ্যাম যদু মধু কলিম সলিম নাম লিখে দেয়ালগুলির ক্ষতিসাধন করে রেখেছে। এসব নোংরামি আমাদের উপমহাদেশে অনেক ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্তিক স্থাপনায় দেখেছি। আমাদের গলাবাজি বেশী কিন্তু এ সবেই কিছুটা প্রমান হয় আমরা সামষ্টিকভাবে কতটা সভ্য হয়েছি। এরকম সহ অনেক বর্বর নোংরা আচরনের অসংখ্য উদাহরন দেয়া যাবে ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলিতে।
  
ইতিহাস থেকে শিক্ষা আমরা নিইনি। কোন সভ্যতা কেমন ছিলো সে বিচার না করে, সাধারন ছাত্রছাত্রী ও মানুষদেরকে অতীত সভ্যতা ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধার শিক্ষাদানই সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে।

পড়ুন ড: নওশাদুল হকের আরো লেখা

 

ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের সকল কর্মকান্ড নট ফর প্রফিট, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে জানাতে হচ্ছে যে আমাদের সম্মানিত লেখকদের জন্য কোনো তহবিল এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। অদূর ভবিষ্যতে তহবিল গঠন করতে পারা গেল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।

 

ঘুরুঞ্চির ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে আমাদের সপ্তাহে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বর্তমানে আমাদের কাজ শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক এবং স্ব-অর্থায়নের উপর নির্ভর করে। আপনারা ঘুরুঞ্চিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনুদান দিয়ে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

ঘুরুঞ্চির ভ্রমণ ছবি ব্লগের ছবি থেকে আপনার পছন্দসই ছবি পেপার প্রিন্ট, ফাইন আর্ট প্রিন্ট, ওয়াল আর্ট এবং ডেস্ক আর্ট হিসাবে কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা ছবি কেনাকাটা করলে আমরা অল্প পরিমাণ কমিশন পাব, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যাবস্থার হবে, যা ঘুরুঞ্চির ক্রমবিকাশ এবং সম্প্রসারে ব্যবহার হবে।

আমরা আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।